স্টাফ রিপোর্টার : দিনভর উত্তাপ শেষে দীর্ঘ ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয়দফা কাউন্সিল অধিবেশ চলাকালে স্থগিত ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি আহমদ হোসেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল জানান, পরবর্তীতে সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হবে।

এর পুর্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ও জনমিলন কেন্দ্রের জানালা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পুরোটা সময় জুড়ে দুই নেতার অনুষারী হিসেবে পরিচিত জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর হলের চেয়ার-গ্লাস ভাংচুরের ঘটনায় হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ।
জানা যায়, দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে যখন জেলার নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন ঠিক তখন স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের অনুষারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারে।

দুপুরে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য শুরু হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা-পাল্টি স্লোগান দিতে শুরু করলে শুরু হয় টানটান উত্তেজনা। এসময় বেশ কয়েকবার মঞ্চ থেকে তাদের স্লোগান দিতে বারণ করা হয়। কিন্তু তারা স্লোগান দেওয়া বন্ধ করেনি।

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান তার বক্তব্য শুরু করলে সম্মেলনের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহমদ হোসেন সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য বার বার আহবান জানান। সংঘর্ষ বন্ধ না করলে সম্মেলন স্থল ত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৯)