মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকার এডভোকেট দলিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে বখাটেরা দুই ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করেছে। এই ঘটনায় বখাটে ও স্কুলছাত্রদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়, স্কুল, আহত, পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উকিলবাড়ি এলাকার এডভোকেট দলিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে।
সোমবার ইংরেজী দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা শেষে দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কিছু বখাটে উত্যক্ত করে। এ সময় ঐ ছাত্রীর হাতে জোর করে নিজেদের মোবাইল নম্বর দেয়ার ও ওড়ণা টেনে নেয়ার চেষ্টা করে বখাটেরা।

এই ঘটনা দেখতে পেয়ে ঐ স্কুলের কয়েকজন ছাত্র প্রতিবাদ করে। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে রনি শিকদার, সাইফুল শেখ, রানা শিকদার ও মো. আশিক চাকু দিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ঐ এলাকার তালেব আকনের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও একই ক্লাসের ছাত্র একই এলাকার ইয়ার বেপারীর ছেলে আরমান বেপারীকে কুপিয়ে জখম করেছে। ঘটনার পর স্থানীয়রা ঐ দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়েছে।

এই ঘটনার পর ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্র ও বখাটেদের মধ্যে কয়েকদফা ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।

আহত স্কুলছাত্র শফিকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মস্তফাপুর এলাকার জলিল শিকদারের ছেলে রনি শিকদার ও একই এলাকার বজলু শেখের ছেলে সাইফুল শেখ, ঘটমাঝি এলাকার আতিয়ার শিকদারের ছেলে রানা শিকদার ও একই এলাকার মো. মামুনের ছেলে মো. আশিক মিলে আমাদের স্কুলের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওরা আমাকে ও আমার বন্ধু আরমান বেপারীকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। এছাড়াও বখাটেরা কয়েক বার হামলা চেষ্টা করেছে। তাই আমরা দ্রুত ঐ বখাটেদের শাস্তির দাবী জানাই।

নাম না প্রকাশে এ ব্যাপারে ঐই স্কুলের এক ছাত্রীর মা জানান, ঐ বখাটেরা এর আগেও অনেক স্কুল ছাত্রীদের ইভটিজিং ও উত্যক্ত করে। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। তাই আমরা দ্রুত এই বখাটের শাস্তির দাবী জানাই।

এ ব্যাপারে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান জানান, ঘটনার কথা তাৎক্ষণিকভাবে আমার জানা ছিলোনা। পরে জেনেছি। আমরা বখাটেদের শাস্তির দাবী জানাই। যাতে করে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্যা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

(এএস/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৯)