নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চকরাজা আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি’র অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন চকরাজা গ্রামবাসী।

মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া বাজারের চেয়ারম্যান মার্কেটে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, চকরাজা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রাসেল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানিয় ভীমপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ (৩৯), ভীমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হামিদুর রহমান (৪৭), ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আজাদুল ইসলাম (৩১), চকরাজা গ্রামের হায়দার আলী (৩৮), এরশাদুল ইসলাম (৫২), মশিউর রহমান (২৫)সহ বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দীর্ঘদিন যাবত চকরাজা আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও পরিচালনা কমিটি একে অপরের সহযোগীতায় অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়াতে পরিণত করেছে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই মাদ্রাসাটিকে।

এমপিও ভুক্ত মাদ্রাসাটিতে নিয়োজিত শিক্ষক/শিক্ষিকাসহ সকলেই সরকারী সুযোগ-সুবিধা, মাসিক ভাতা বা বেতন পান। মাদ্রাসার নামে ফসলী জমি রয়েছে প্রায় ২৫ বিঘা। যে জমি গুলোতে বছরে দুটি ফসল ফলানো হয়। এছাড়া প্রতি বছর মাদ্রাসা কেন্দ্রিক লিল্লাহ বোডিংয়ে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ আসে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এরপরেও দীর্ঘদিন যাবত প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ যোগ্য তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। পক্ষান্তরে পরিচালনা কমিটি ও মাদ্রাসার সুপারের অনিয়ম ও দূর্নীতির এবং অবহেলার কারনে ইতোমধ্যে মাদ্রাসাটি ছাত্র-ছাত্রী শুন্য হয়ে পড়ছে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটিকে টিকে রাখতে শতাধিক গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দেয়ার পাশাপাশি সদয় অবগতির জন্য অভিযোগের অনুলিপি স্থানিয় সাংসদসহ জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নওগাঁসহ মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হলেও অজ্ঞাত কারনে আজ পর্যন্ত অভিযোগ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এসময় আরো বলা হয়, অতি দ্রুত তদন্ত পূর্বক অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া না হলে এধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে টিকে রাখতে প্রয়োজনে গন-আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেয়া হয়।

(বিএম/এসপি/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯)