বিনোদন প্রতিবেদক : আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সহকারী পরিচালক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে দুইটি প্যানেল - কাজী মনির-আবুল বাশার পরিষদ এবং আলমগীর রতন-এটিএম বাবুল সরকার পরিষদ। ১৫ জনের এই পরিষদে নির্বাহী সদস্য ৮ জন করে। কিন্তু পরের পরিষদে একজন প্রার্থী কম আছে। এর মানে প্রার্থী হয়েছেন ২৯ জন। 

মনির-বাশার পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী এফএ মোহানী মানিক জানান, সহকারী পরিচালক সমিতির এবার ভোটারের সংখ্যা ১৯৩ জন।

তিনি উল্লেখ করেন, এবার কেউ কারও চাঁদা পরিশোধ করেননি। প্রত্যেক সদস্যকে নিজের চাঁদা নিজেকেই পরিশোধ করতে হয়েছে। এজন্য ভোটার সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। এই সমিতির নামেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই সমিতির আগে নাম ছিল সিডাব বা সিনে ডিরেক্টরিয়াল অ্যাসোসিয়েশন। সম্পৃক্ত ছিল পরিচালক সমিতির সঙ্গে। এখন সহকারী পরিচালক সমিতি স্বতন্ত্র বা পরিচালক সমিতির অন্তর্ভুক্ত নয়।

এই সমিতির বর্তমান সভাপতি এসআই ফারুক মনির-বাশার পরিষদ থেকে নির্বাহী সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুটি পরিষদ থেকেই চলচ্চিত্র উন্নয়নের কথা বলছে। সহকারী পরিচালকদের বাদ দিয়ে কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় না। তাই এই সমিতির নির্বাচনের দিকে সকলেরই খেয়াল রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে এই সমিতির নেতৃত্ব অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।

একজন পরিচালক বলেছেন, তিনি সহকারী পরিচালক সমিতির যোগ্য নেতৃত্ব চান। চলচ্চিত্র নির্মাণ এখন কেবল এফডিসি নির্ভর নয়। ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। যত্রতত্র ক্যামেরা পাওয়া যাচ্ছে। যেখান থেকে খুশি বিভিন্ন কারিগরি কাজ সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু একজন দক্ষ সহকারী পরিচালকের অভাবে একটি ছবির গুণগত মান বিঘ্নিত হতে পারে। সে বিবেচনায় এই পেশাদার সংগঠনটির যোগ্য নেতৃত্ব সহকারী পরিচালকদের অনেক দূর এগিয়ে দিতে পারে।

(এম/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯)