স্টাফ রিপোর্টার : অসামাজিক কাজের টাকা নিয়ে বাদানুবাদের কারণেই মিরপুরে রহিমা বেগম (৬৫) ও সুমী আক্তার (২০) খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।

এর আগে, মিরপুরে ফ্ল্যাট বাসায় জোড়া খুনের ঘটনায় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পশ্চিম বিভাগের একটি টিম। গ্রেফতারকৃতদের একজনের নাম ইউসুফ খান, অন্যজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বিষয়ক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন।

তিন বলেন, ‘২ ডিসেম্বর রাতে মিরপুর সেকশন-২ এর একটি বাড়ির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে রহিমা বেগম (৬৫) ও সুমী আক্তার (২০) নামের দু-জনের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ জোড়া খুনের ঘটনা তদন্তকালে ডিবি পশ্চিম জানতে পারে, গ্রেফতারকৃত দুইজন অসামাজিক কাজ করতে ওই ফ্ল্যাটে যায়। পরবর্তী সময়ে টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এতে ওই বাসায় একজন রুমে, অন্যজন বারান্দায় রাতযাপন করে। সকালেও টাকা নিয়ে ঝামেলা ও তাদেরকে মারধর করতে পারে, এমনটা ভেবে সুমীকে গলা চেপে ধরে একজন। এক পর্যায়ে সুমীর মৃত্যু হয়।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযুক্তদের একজন রহিমা বেগমকে কল করে বলে, সুমী অজ্ঞান হয়ে গেছে আপনি রুমের বাইরে আসুন। তাদের ডাকে রহিমা বেগম রুমের বাইরে আসলে তাকেও গলা চেপে হত্যা করে তারা। পালিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোন, ১৪ হাজার টাকা, সোনা ভেবে ইমিটেশনের তিনটি চেইন ও একটি কানের দুল নিয়ে যায়।’

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, ১৪ হাজার টাকা, ইমিটেশনের তিনটি চেইন ও একটি কানের দুল উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে তাদের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতেই বৃদ্ধার মেয়ে রশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ ঘটনায় রহিমা বেগমের পালক পুত্র সোহেলকে হেফাজতে নিলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসার পর তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯)