টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার পারখী ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। এ ঘটনায় কালিহাতীতে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে একা পেয়ে যৌন হয়রানি করেন প্রধান শিক্ষক। ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে ঘটনাটি তার মাকে বলে। পরে ছাত্রীর মা এলাকাবাসীকে জানালে স্থানীয় এমপিকে বিষয়টি অবগত করা হয়। এদিকে ওই ছাত্রীর মা ভয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও অন্য বিদ্যালয়ে থাকাকালে যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে টাকা পয়সা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করেন। এলাকাবাসী জানান, প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাই অনৈতিক কাজ করে রেহাই পেয়ে যান।

ওই ছাত্রীর বাবা বিদেশে থাকেন। মা সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন তার মেয়েকে মাঝে মধ্যেই আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করেন। মান সম্মানের ভয়ে এর আগে কাউকে বলিনি। এ ঘটনার যথাযথ বিচার চাই।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সোলায়মান মিয়া বলেন, ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে থাকলে প্রধান শিক্ষকের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। যাতে আর কেউ এ ধরণের জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়।

কালিহাতী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় এমপি স্যার এ বিষয়ে আমাকে ফোন করেছিলেন। দুই জন সহকারি শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালিহাতীর সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী বলেন, আউলিয়াবাদ এলাকা থেকে আমাকে ঘটনাটি জানানো হয়। পরে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলেছি। প্রধান শিক্ষক জড়িত থাকলে অবশ্যই তার শাস্তি হবে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। একটি মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা ঘটনায় জড়ানোর চেষ্টা করছে।

(আরকেপি/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯)