নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের নাম মোবারক হোসেন (৬২)। তিনি মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চকসাবাই গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। নিখোঁজের ৭ দিন পর বুধবার আত্রাই নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একইদিন ময়না তদন্ত শেষে নওগাঁ আঞ্জুমান মফিদুলের তত্ত্বাবধানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। 

এদিকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর স্বজনরা নিহতের পরিধেয় বস্ত্র ও সংগ্রহকৃত আলামত দেখে মোবারক হোসেনকে সনাক্ত করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

নিহতের স্ত্রী নুরজাহান বেগম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নওগাঁ আদালতে চলমান একটি মামলায় হাজিরা দিতে স্বামী মোবারক হোসেন বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। ওইদিন আদালতের কাজ শেষে নওগাঁ শহরের উকিলপাড়া মহল্লায় আমার বাবার বাসায় রাতে অবস্থান করেন। পরদিন ২৮ নবেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আমার বাবার বাসা থেকে আবারও নওগাঁ আদালতে যাবার কথা বলে বেরিয়ে যান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ওইদিন দুপুরের সময় থেকে স্বামী মোবারক হোসেনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে স্বামীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শেষে ২৯ নবেম্বর নওগাঁ সদর মডেল থানায় আমার মেয়ে কাজলা পারভীন একটি সাধারণ ডাইরি করেন।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানান, মোবারক হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরিবারের দেয়া বিভিন্ন সুত্র ধরে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের লক্ষ্মীরামপুর এলাকায় আত্রাই নদী থেকে অজ্ঞাতনামা একব্যক্তির অর্ধগলিত ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুলে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

(বিএম/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯)