উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ভুটান স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

ভোরে ভারতীয় ছত্রীসেনা সিলেটের নিকটবর্তী বিমানবন্দর শালুটিকরে নামে। তারপর চতুর্দিক থেকে পাক ঘাঁটিগুলির উপর আক্রমণ চালায়। দুপুর বেলায় এখানকার পাকসেনানায়ক আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ভারতীয় নবম ডিভিশনের প্রথম কলামটি উত্তর দিক দিয়ে যশোর ক্যান্টনমেন্টের কাছে এসে পৌঁছায়। তারা তখনো জানে না যশোর ক্যান্টনমেন্ট শূন্য। মিত্রবাহিনীর কলাম যতই এগিয়ে এলো ততই তারা আশ্চর্য হয়ে গেলো। কেননা কোনো প্রতিরোধ নেই। এর পরপরই তারা বুঝতে পারে যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে সব পাকসৈন্যরা পালিয়ে গেছে। পলায়নের সময় পাকবাহিনী বিপুল অস্ত্রশস্ত্র, রেশন এবং কন্ট্রোল রুমের সামরিক মানচিত্রও ফেলে রেখে যায়।

সোভিয়েত নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ কোনো প্রকার বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া পাক-ভারত সংঘর্ষের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহবান জানান।

মেজর আফসারের বাহিনী ভালুকা থানা তিন দিক থেকে ঘেরাও করে শত্রুসেনাদের উপর প্রচন্ড আক্রমণ চালাতে থাকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখানে তুমুল লড়াই চলছে।

যৌথবাহিনী চাদিনা ও জাফরগঞ্জ অধিকার করে। অবশ্য কুমিল্লা ও লাকসামে এখনো
তুমুল যুদ্ধ চলছে।

বিকেলে বগুড়া-রংপুর সড়কের করতোয়া সেতু দখল নিয়ে পাকিস্তান ও যৌথ বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে অর্থনৈতিক সাহায্যদান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।

তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯)