চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনের পশ্চিম রেলগেটে গেটম্যানের জন্য সংরক্ষিত ঘরটিতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিলে ঘরটি ভেঙ্গে যায়। 

বিষয়টি চাটমোহর রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ সিরাজগঞ্জ ইন্সপেক্টর ওয়ে (আই ডাব্লিউ) কর্মকর্তা জুয়েল রানাকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে সেই কর্মকর্তা এসে ট্রাকটি আটকে রেখে প্রায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। জরিমানার টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ঘরটি আই ডাব্লিউ কর্মকর্তা মেরামত করে দিবেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা। কিন্তু দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তিনি ঘরটি মেরামত করেননি।

গত ২২ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাত সারে ১২টার দিকে চাটমোহর রেলস্টেশনের পশ্চিম রেলগেটে ঘটনাটি ঘটে।

চাটমোহর রেলস্টশন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনসাধারনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর রাতে চাটমোহর রেলস্টেশনের পশ্চিম রেলগেটে গেটম্যানের দায়িত্বে ছিলেন গেটম্যান মনিরুল ইসলাম। রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি ট্রেন চলে যাওয়ার সময় গেট বারটি নামিয়ে দেন তিনি। এসময় পাবনা থেকে চাটমোহর অভিমূখী একটি দ্রুতগামী ট্রাক (খুলনা মেট্রো ট-১১-০১৭৭) রেলগেটের কাছে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেটম্যানের ঘরে গিয়ে আঘাত করলে ঘরটি ভেঙ্গে যায়।

পরে স্টেশন কর্তৃপক্ষ ট্রাকটি আটকিয়ে রেখে সিরাজগঞ্জ আই ডাব্লিউ কর্মকর্তা জুয়েল রানাকে অবহিত করলে তিনি এসে ট্রাক চালক সহ মালিককে মামলার ভয় দেখিয়ে ঘর মেরামত বাবদ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। পরে ট্রাক মালিক কর্তৃপক্ষ বিকাশে ওই কর্মকর্তার মোবাইলে টাকাটি দিয়ে ট্রাক ও চালককে নিয়ে যান।

এ ঘটনার দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও গেটম্যানের ঘরটি এখনও মেরামত করা হয়নি। রেল বিভাগ থেকে নতুন করে বাজেট পাশ করিয়ে ঘরটি মেরামত করবেন সেই আই ডাব্লিউ কর্মকর্তা এমন কথা বলেছেন চাটমোহর রেলস্টশন কর্তৃপক্ষকে।

চাটমোহর স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাষ্টার তাওলাদ হোসেন মিরাজ বলেন, আই ডাব্লিউ কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে আমি বেশ কয়েকবার বলেছি দ্রুত গেটম্যানের ঘরটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য। অথচ পরের দিনই কথা ছিল তিনি জরিমানার টাকায় ঘরটি মেরামত করে দিবেন। ১৫ দিন অতিবাহিত হচ্ছে ঘরটি মেরামত করার খবর নেই। আমার গেটম্যানরা এই শীতের রাতে কষ্ট করে ডিউটি করছেন।

ইন্সপেক্টর ওয়ে (আই ডাব্লিউ) কর্মকর্তা জুয়েল রানা বলেন, দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ গেটম্যানের ঘরটি মেরামতের জন্য ট্রাক মালিকের নিকট কিছু টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। লোকবল কম থাকায় এবং আমি একটু ব্যস্ত থাকায় ঘরটি মেরামত করে দিতে পারছি না। আশা করছি দুই চার দিনের মধ্যে কাজটি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯)