রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : অপহরণ মামলা তুলে নিতে উদ্ধার হওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে আবারো অপহরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুর একটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী রাস্তার উপর থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

অপহৃত স্কুল ছাত্রীর নাম সীমা রানী মিস্ত্রী। সে সাতক্ষীরা সদরের উত্তর ফিংড়ি গ্রামের স্বপন কুমার মিস্ত্রীর মেয়ে ও শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।

স্কুল শিক্ষক স্বপন কুমার মিস্ত্রী জানান, তার মেয়ে সীমাকে গত পহেলা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে মোটর সাইকেলে করে অপহরণ করে নিয়ে যায় দক্ষিণ ফিংড়ি গ্রামের ওহিদুল শেখেরে ছেলে কলেজ ছাত্র রায়হান শেখ। তাকে অপহরণে সহায়তা করে ওহিদুল শেখ ও তার মামা জালাল।

পরদিন দেবহাটা থানাধীন কদবেলতলা নামক স্থান থেকে সীমাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে রায়হান, তার বাবা ও মামার নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলা করায় ক্ষুব্ধ ছিল ওহিদুল, তার ভায়রা ভাই শিমুলবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ সরদার ও তাদের স্বজনরা। তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আবারো মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে শনিবার দুপুর একটায় স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর রাস্তার উপর উঠতেই তার মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে মোটর সাইকেলে করে অপহরণ করে রায়হান, তার বাবা ওহিদুল, ইউনুছ ও জামালসহ কয়েকজন। সীমার সহপাঠীরা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সীমা অপহরণের পর থেকে রায়হানের মা আছিয়া প্রতিনিয়ত অপহরণকারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। যা’ তার মোবাইল কললিষ্ট যাঁচাই করলেই সত্যতা মিলবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সন্ধায় রায়হানের খালু স্থানীয় এক সাবেক ইউপি সদস্যের কাছে মোবাইলে জানিয়েছে যে মামলা তুলে নিলে সীমাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি চিন্তা করবেন।

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুরাতন সাতক্ষীরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রবীন মণ্ডল জানান, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। তবে সীমাকে উদ্ধার ও অপহরণকারিদের গ্রেপ্তারের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯)