স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : প্রায় এক যুগ পর লাভের মুখ দেখেছে দেশের একমাত্র ভু-গর্ভস্থ্য পাথর খনি মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল)। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। দিনাজপুরের গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু করে ২০০৭ সালের ২৫ মে থেকে। প্রথম অবন্থায় খনি থেকে দৈনিক ১৫ থেকে ১৮শ টন পাথর উত্তোলন হলেও পওে তা নেমে আসে মাত্র ৫শ টনে। উৎপাদন শুরুর ৬ বছওে খনিটি লোকসান দিয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা। অব্যাহত লোকসানের মুখে খনির উৎপাদন বাড়াতে ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রয়ারী খনির উৎপাদন ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় বেলারুশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামানিয়া ট্রেস্ট কনসোটিয়াম জিটিসি কে।

জিটিসি ১৭১.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ৬ বছওে ৯২ লাখ টনপাথর উত্তোলন করে দেয়ার চুক্তি বদ্ধ হয়।

২০১৪ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর জিটিসি ৩ শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু করে। ৬ মাসের মধ্যে দৈনিক উৎপাদন ৫শ টন থেকে সাড়ে ৫হাজার টনে উন্নীত করে। ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা পাথর উত্তোলন করে ১১ লাখ ৯২ হাজার টন। কিন্তু আধুনিক ইশুইপ মেন্টের অভাব দেখিয়ে ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পুরোপুরি পাথর উত্তোলন বন্ধ কওে দেয় জিটিসি। জিটিসি দায়িত্ব নেয়ার পরও বিভিন্ন সময়ে ইকুইপ মেন্টের অভাব, খনি কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিরোধ সহ বিভিন্ন কারনে পাথর উত্তোলন ব্যহত হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে কয়েকশ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়।

গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরেও খনিটি লোকসান হয় ৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অব্যাহত লোকসানের পর অবশেষে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে খনিটি। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছওে প্রতিষ্ঠানটি ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। অব্যাহত লোকসানের ১২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম লাভের মুখ দেথলো।

গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক (মাইনিং ওপারেশন) আবু তালেব মোহাম্মদ ফারাজী জানান, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে খনি থেকে ১০ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকায পাথর বিক্রি হয়েছে। ইয়ার্ডে বর্তমানে ৬লাখ মেট্রিক টন পাথর মজুদ রয়েছে।

খনির নতুন স্টোপ সির্মান, নতুন যন্ত্রপাতি, বিদেশি মেশিনারিজ স্খাপন করে ৩ শিফটে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। ৭ শতাধিক খনি শ্রমিক পাথর উত্তোলনের জন্য কাজ করছে। এখন গডে দৈনিক ৫ হাজার টন পাখর উত্তোলন হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামিতে আরো বাড়বে পাথর উত্তোলন এমনটাই মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯)