সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সৈয়দ আবু আবেদ মোঃ সাহেরের হাতে “মুক্তিযুদ্ধে কেন্দুয়া” গ্রন্থখানি তুলে দেন লেখক ও গীতিকার মোঃ নূরুল ইসলাম। দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে যিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দুয়া উপজেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল ইসলাম। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি “মুক্তিযুদ্ধে কেন্দুয়া”, “বীরাঙ্গনা সখিনা”, “চাঁদবেগের ফাঁসি” গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাছাড়া নেত্রকোনার বাউল সাহিত্য নিয়েও একটি গবেষণাধর্মী পান্ডুলিপি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। মোঃ নূরুল ইসলাম কেন্দুয়ার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে কেন্দুয়া গ্রন্থটি রচনা করেন।

তিনি বলেন, কেন্দুয়ার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংক্ষিপ্ত ভাবে হলেও এই গ্রন্থটিতে ওঠে এসেছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষন ও বেশি বেশি করে জানার ও পড়ার আহ্বান জানিয়ে তার লেখা এই গ্রন্থটি রবিবার তার কার্যালয়ে আসা মুক্তিযুদ্ধ তথা লোক সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস লালনকারী সৈয়দ আবু আবেদ মোঃ সাহেরের হাতে তুলে দেন। সৈয়দ আবু আবেদ মোঃ সাহের ঐতিহ্যবাহী কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব মরহুম সৈয়দ আবু সাদেক এবং মহিলা কবি ও লেখক সৈয়দা নূরমহল সাদেকের ছেলে।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতবছর স্বাধীনতা বই মেলায় ময়মনসিংহ গীতিকার সংগ্রাহক প্রয়াত চন্দ্র কুমার দে’র স্মৃতি ভাষ্কর্য নির্মানের আহ্বান জানান প্রাবন্ধিক বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক যতীন সরকার ও কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সমকাল সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা। এ আহ্বানে সারা দিয়ে সৈয়দ আবু আবেদ মোঃ সাহের তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে চন্দ্রকুমার দে’র স্মৃতি ভাষ্কর্য নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক সৌজন্য স্বাক্ষাতে মিলিত হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে আকঁড়ে ধরে রাখার জন্য প্রস্তাবিত ডিসিপার্কে নির্মিতব্য স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ স্থান উন্নয়নের আহবান জানান।

এর প্রেক্ষিতে সৈয়দ সাহের এর উন্নয়নেও সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন। সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারের কৃতি সন্তান সৈয়দ আবু আবেদ মোঃ সাহের ছাত্রজীবন থেকেই মুক্তিযুদ্ধ ও লোক সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস সংরক্ষনে এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে লোক সাহিত্য সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিকভাবে জানার জন্য তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রন্থ সংরক্ষনের কাজে সকলকে আন্তরিক ভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

(এসবি/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯)