সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : বাল্য বিয়ে, মাদক, সন্ত্রাস, জুয়া ও দুর্নীতিকে না বলার আহ্বান জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এই দেশ ও সমাজকে ভালো ও সুন্দর রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুনেছি কেন্দুয়ার বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে যেসব কর্মকর্তা কর্মচারী আছেন তারা সকাল ৯টায় অফিসে আসেন না এবং ৫ টার আগেই অফিস ত্যাগ করেন। এটাও কিন্তু দূর্নীতি। হালাল রুজির অংশ না। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের সবার বেতন ভাতা হয়। সেই জনগনের সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করবেন না।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দেশের দূর্নীতি বন্ধ হলেই ৫ বছরে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। তিনি দূর্নীতি প্রতিরোধে সব উন্নয়ন প্রকল্প এলাকায় বাধ্যতামূলক ভাবে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সাইনবোর্ড টানানোর পরামর্শ দেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেখানেই অনিয়ম দেখবেন, সেখানেই লিখবেন। তাছাড়া যেসব ঠিকাদার কাজ ভালো না করে অফিসে গিয়ে হাম্বিথাম্বি করে তাদেরকে কঠিনভাবে মোকাবেলা করবেন। কেন্দুয়া বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে মেয়র মোঃ আসাদুল হক ভূঞার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, খুব দ্রুত তাদেরকে উচ্ছেদের আওতায় আনা হবে। সরকার বাল্য বিয়ে, মাদক, জুয়া, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে নির্মূল করতে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের এই কার্যক্রমকে সকলে মিলে এগিয়ে নিতে হবে। মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে শুধু মাইকে ও ব্যানার পোষ্টার টানিয়ে প্রচার করলে চলবে না। ভালো ভালো কাজ করতে হবে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ভালো কাজের অংশ হিসেবে কেন্দুয়ায় ১শ ৫০ পরিবার পাবে বিনামূলে সরকারি খাসজমি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গীতিকার মোঃ নূরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির ভূঞা, পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আসাদুল হক ভূঞা, মোজাফরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর চৌধুরী, কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা ও সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন সরকার রয়েল প্রমুখ।

পরে বিভাগীয় কমিশনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

(এসবি/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯)