বিনোদন প্রতিবেদক : তানহা মৌমাছি সুন্দরী গ্লামার ও ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ প্রজন্মের সম্ভাবনাময়ী চিত্র নায়িকা। ১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি পৌরসভার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। বাবা জয়নুল আবেদিন জিনু মন্ডল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, মা মালেকা পারভিন সূ-গৃহিণী। ৪ ভাই ৩ বোনের মধ্যে তানহা সবার বড়। পরিচালক শাহীন সুমনের ‘কি দারুন দেখতে’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালী পর্দায় অভিষেক ঘটান তানহা মৌমাছি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। 

তানহা মৌমাছির অভিনিত মুক্তি প্রাপ্ত ছিনেমা ‘যে গল্পে ভালবাসা নেই’, ‘বউ বানাবো তোকে’ ও ‘অনেক দামে কেনা’ হিট হয়েছে। ছিনেমাগুলোতে তাঁর অভিনয়ও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। উত্তম আকাশ পরিচালিত শাকিব খান অভিনিত ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া ও নোয়াখাইল্লা মাইয়া’ ছিনেমায় সাকিব খানের সাথে আইটেম গানে পারফর্ম করার পর কিছুদিন আড়ালে ছিলেন। কন্ঠ শিল্পী কাজী শুভর মিউজিক ভিডিও ‘না বুঝলে প্রেম বৃথা’য় মডেল হয়ে আবারও সরব হলেন তানহা।

এরপর পরিচালক রাকিবুল আলম রাকিব এর ‘ইয়েস ম্যাডাম’ ও দূর্জয় রাজুর ‘মিশন’ ও দখল ছিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ছিনেমা তাঁর হাতে রয়েছে।আগামী ১৩ ডিসেম্বর মহরত অনুষ্ঠিত হবে দদখল' ছবির। চলচ্চিত্র ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের প্রতিবেদক মারুফ সরকার।

মারুফ সরকার: চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর আলোর মুখ দেখার পরও হঠাৎ বিরতিতে যান?

তানহা মৌমাছি : আমি যখন বিরতিতে গিয়েছিলাম তখন ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, অনেকের মুভি প্লফ হতে দেখলাম। মনে হল এখানে ক্যারিয়ার হবেনা। তাই ফ্যামিলির ইচ্ছায় কিছুকাল ফ্যামিলি বিজনেসে সময় দেই।

মারুফ সরকার: অধরা থেকে আবার ধরা দেওয়ার কারন কী?

তানহা মৌমাছি : অনেক পরিচালক ই চাচ্ছে আমি তাঁদের ছিনেমায় কাজ করি,আমাকে নিয়ে গল্প তৈরী করে, এতে করে তাঁরা আমার প্রতি সম্মান ই প্রদর্শন করে,তাদের দেওয়া এই সম্মানকে মূল্যায়ন করতেই আমার পূণরায় ফেরা।

মারুফ সরকার: এখন চলচ্চিত্রে কেমন অবস্থা চলছে বলে মনে করেন?

তানহা মৌমাছি : এখন চলচ্চিত্রের অবস্থা খুব ভালো,ভালো মানের ছিনেমা তৈরী হয়,হলগুলোও উজ্জিবিত হচ্ছে। প্রধান মন্ত্রী চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য ৫০ কোটি টাকা বাজেট করেছেন, এটা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

মারুফ সরকার: চলচ্চিত্রের সংকটের কারনগুলো কী?

তানহা মৌমাছি : নায়িকা সংকট,নায়িকাদের আন্তরিকতার অভাব,নায়িকাদের ডিমান্ড পূরণ করে ছিনেমা বানাতে পরিচালকরা ভয় পান। তাই আমি মনে করি,চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নায়িকাদের হেল্পফুল মনোভাব থাকা জরুরী।

মারুফ সরকার: বর্তমানে অনেক নায়ক-নায়িকাকেই রাজনীতিতে যুক্ত হতে দেখা যাচ্ছে,অনেককে দেখা গেল পূর্বে রাজনীতিতে কোন অবদান রাখা ছাড়াই হঠাৎ করে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েই সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন চেয়ে বসল,আপনার কি তেমন কোন ইচ্ছা আছে?

তানহা মৌমাছি : আমার ঠিক তেমন ইচ্ছে নেই,তবে আমার দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার খুব ইচ্ছে, যেটা আমি এখনও করি স্বল্প পরিসরে,ভবিষ্যতে হয়তো আরও বড় পরিসরে করব। দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করা আমার ছোট বেলার ই স্বপ্ন। খুব ছোটবেলা থেকেই টুকটাক স্যোসাল ওয়ার্ক করতাম, যত বড় হচ্ছি কাজের পরিধিও তত বাড়াচ্ছি। দেশ ও মানব সেবার যেই স্বপ্ন আমি শৈশবে মনে গেঁথেছি তা বাস্তবায়নে আমি আমার অবস্থা অনুযায়ী কাজ করে থাকি। খুব বড় পরিসরে দেশ ও মানব সেবার জন্য যা যা করনীয় আমি ঠিক তাই তাই করব।

মারুফ সরকার: চলচ্চিত্র শিল্পীদের মূল প্লাটফর্ম চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে আসার ইচ্ছা আছে কি?

তানহা মৌমাছি: নেতৃত্বের ইচ্ছে নেই,শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করব।

মারুফ সরকার: আপনার সখ কী?

তানহা মৌমাছি : ছিন্নমূল শিশুদের সাথে সময় কাটানো,তাদের দেখ-ভাল করা,তাদের সাথে আনন্দ করা।

মারুফ সরকার: অবসরে কী করেন?

তানহা মৌমাছি : মুভি দেখি এবং ঘুড়তে যাই।

মারুফ সরকার: আমাদের সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ?

তানহা মৌমাছি : আপনাদের ও ধনবাদ।

(এমএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯)