বিনোদন প্রতিবেদক : চলচ্চিত্র শিল্পের বাণিজ্যিক বিপর্যয়ের কথা বলা হলেও পরিস্থিতি এখন ক্রমশ উত্তরণের দিকে যাচ্ছে বলেই নির্মাতারা মনে করেন। বর্তমানে অন্তত এক ডজন ছবির শুটিংয়ের কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে তোলপাড়, ওস্তাদ, ক্যাসিনো, সমাধান, বীর, ইত্তেফাক, আনন্দ অশ্রু, তোরে কতো ভালোবাসিসহ আরো কয়েকটি ছবি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আরবিএস টেক লিমিটেড নতুন চারটি ছবির ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে বসন্ত বিকেল ছবির কাজ শুরু হয়ে যাবে ১০ ডিসেম্বর থেকে।

এ ছবিটির নির্মাতা রফিক শিকদার জানান, আমি আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে পাবনার বিভিন্ন লোকেশনে বসন্ত বিকেল ছবির কাজ শুরু করবো। আর আগামী বসন্তে এই ছবিটি মুক্তি দেব। আর আপনারা সবাই আমার এই ছবিটির জন্য দোয়া করবেন।

এদিকে ২৯ নভেন্বর মুক্তি পায় দন’ ডরাই, ইন্দুবালা ও পাসওয়ার্ড। আর ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পায় শাপলা মিডিয়ার প্রেম চোর। আগামী ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে দগার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ' . ছবিটিতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক কাজী মারুফ ও লাক্স তারকা অরিন। আর মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘রোহিঙ্গা’সহ আরো অনেক ছবি। কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্প থমকে গেছে বলে অনেকে মনে করলেও সবার অলক্ষ্যে ধীর লয়ে উত্তরণ ঘটছে এই শিল্পের।

চলচ্চিত্র শিল্পের উষালগ্ন থেকেই দেখা যাচ্ছে সব সময় সব ছবি ব্যবসা সফল হয়নি। তখন প্রদর্শন ক্ষেত্র ব্যাপক ছিল যে ধীরে ধীরে ব্যবসা করে কিছুটা লাভসহ ছবির বিনিয়োগ উঠে যেত। এখন চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে উদ্যোগ আছে, কিন্তু প্রদর্শনের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে এসেছে। তাতেই ছবির ব্যবসায়িক বিপর্যয়টা বেশি স্পষ্টাকারে চোখে পড়ছে। এছাড়া ছবির নির্মাণশৈলী ভিডিও আঙ্গিকে চলে আসায় এর স্থায়িত্বও কমে গেছে। এখন এক বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ব্যবসা করা যায় না কোনো ছবির। যখন চলচ্চিত্র ব্যবসায়ের স্বর্ণযুগ ছিল তখনও ছবি মুক্তি পেয়েছে সীমিত সংখ্যক সিনেমা হলে।

তবে ব্যবসার বিস্তার ছিল দীর্ঘমেয়াদী। এখন মেয়াদ কমে আসায় বেশি সংখ্যক সিনেমা হলের প্রয়োজন হয়। লক্ষ্য করার বিষয় হলো, চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য উদ্যোক্তার অভাব নেই। অভাব হলো প্রদর্শনের ক্ষেত্র। সরকার চাইলে বিভিন্ন উপায়ে প্রদর্শন ক্ষেত্র বাড়াতে পারে। প্রদর্শনের ক্ষেত্র যতো বাড়বে ততোই সরকারের লাভ।

কারণ সেখান থেকে সরকার কর পাবে। প্রদর্শন ক্ষেত্র সংকুচিত হলে উদ্যোক্তা এবং সরকার - দু’য়েরই ক্ষতি। একজন লগ্নী ফেরত পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে। সরকার বঞ্চিত হবে কর পাওয়া থেকে। সুতরাং গণমাধ্যমের সবচেয়ে শক্তিশালী এ মাধ্যমটিকে গতিশীল রাখা এবং এর উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট হওয়া ও এর লালন-পালন করা দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থেই প্রয়োজন।

(এমএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯)