স্টাফ রিপোর্টার : শেষ বিদায়ে গণমানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থবিজ্ঞানী, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অজয় রায়। মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরদেহ আনা হলে সেখানে হাজারো মানুষের ঢল নামে।

শহীদ মিনারে অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, কবি, লেখক, সাহিত্যিক, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বরেণ্য শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, অজয় রায় একজন উঁচুমানের ব্যক্তি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষকের হাতেগোনা দশ-বারজন শিক্ষকের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করতে অনেক সংগ্রাম করেছিলেন, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন স্বায়ত্তশাসনের অবস্থা খুবই নাজুক।

তিনি বলেন, অধ্যাপক অজয় রায় মুক্তমনা ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে পুরো জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ছেলে অভিজিৎ রায়ের বিচার শুরু হলেও তার বিচার দেখে যেতে পারেননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. সামাদ বলেন, অধ্যাপক অজয় রায় একজন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র অংশ নিয়েছিলেন।

অভিনেতা হাসান ইমাম বলেন, অধ্যাপক অজয় রায় একজন সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি। তিনি আপাদমস্তক একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ছিলেন। গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ছিলেন অগ্রণী সৈনিক।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১০, ২০১৯)