গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : আজ ১২ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় গাইবান্ধা জেলার বৃহৎ উপজেলা গোবিন্দগঞ্জ। পাকিস্তানী লুটেরা বেঈমানদের পঁচিশ বছরের শোষন, নির্যাতন আর বিশ্বাসঘাতকতার শংখল থেকে মুক্ত হয়ে এই দিনে আনন্দে উৎফুল্ল আর জয়বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল গোবিন্দগঞ্জবাসী। 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাক হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালালে সারা দেশের ন্যায় গোবিন্দগঞ্জেও স্বাধীনতাকামী শত শত ছাত্র-জনতা মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং ২৭ মার্চ পাকহানাদার বাহিনীর অগ্রযাত্রা প্রতিহত করতে ঢাকা- রংপুর মহাসড়কের কাটাখালী ব্রীজ ভাঙ্গতে গেলে পাকহানাদার বাহিনীর গুলিতে শহিদ হয় মান্নান আকন্দ, বাবলু মোহন্ত, বাবু দত্ত সহ ৫ জন।

এর পর দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১১ ডিসেম্বর বিকেলে গাইবান্ধা থেকে নাকাইহাট, বোনারপাড়া থেকে মহিমাগঞ্জ এবং হিলি থেকে আসা মিত্র বাহিনীর ত্রিমুখি আক্রমনে প্রায় ২শ’ পাক সেনা নিহত হয়।

অন্যরা ইউনিফর্ম খুলে লুঙ্গি, গেঞ্জি পড়ে সাধারণ বেশে পালিয়ে যায। পরদিন ১২ ডিসেম্বর সকালে জয়বাংলা শ্লোগানে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মুক্তিকামী মানুষ স্থানীয় হাইস্কুল মাঠে সমবেত হয়ে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।

বিজয়ের এ মাসে সারা দেশের ন্যায় গোবিন্দগঞ্জেও সরকারী, বেসরকারী এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠন সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যেগে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ১১, ২০১৯)