রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : এফিডেফিডের মাধ্যমে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক হিন্দু কিশোরকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে এক নাবালিকার সঙ্গে বিয়ে প্রস্তুতিকালে জনতা এক আইনজীবী, দু’ আইনজীবী সহকারিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর কিশোরীকে। ভ্রাম্য আদালতে দু’ আইনজীবী সহজকারির প্রত্যেককে ১৫ দিনের ও আাইনজীবীকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বুধবার দুপুর একটার দিকে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের নোটারী পাবলিক অ্যাড. শেখ আজাহারুল ইসলামের সেরেস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদরের আবু বক্কর মালীর ছেলে অ্যাড. মোশাররফ হোসেন, শহরের পলাশপোলের আব্দুর জব্বার মালীর ছেলে আইনজীবী সহকারি খায়রুল মালী ও ইটাগাছার রফিকুল ইসলামের ছেলে আইনজীবী সহকারি রায়হান।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের কয়কেজন আইনজীবী জানান, শ্যামনগর উপজেলার চোট কুপট গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক কিশোরকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে তার সঙ্গে ১৩ বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য বুধবার দুপুর একটার দিকে নোটারী পাবলিক অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. শেখ আজাহারুল ইসলামের শেরেস্তায় বসে ছিলেন অ্যাড. মোশাররফ হোসেন মালী, আইনজীবী সহকারি রায়হান ও খায়রুল ইসলাম।

এ খবর জানতে পেরে তারা আদালতে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানান। নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট শাম্মি আক্তার ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাদের স্বজনদের কাছে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একইসাথে আইনজীবী মোশাররফ হোসেনকে সাত দিনের ও দু’ আইনজীবী সহকারির প্রত্যেককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় বলেন সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে বুধবার বিকেলে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ১১, ২০১৯)