স্টাফ রিপোর্টার : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার জামিন আবেদন সর্বসম্মতিক্রমে খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের বেঞ্চ। একই সঙ্গে রায়ে অবজারবেশনে আদালত বলেছেন, খালেদা জিয়া যদি সম্মতি দেন তাহলে তাকে বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায়ে অবজারবেশনে এ কথা বলেন। এর আগে শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেন আদালত।

দুপুর ১টার দিকে শুনানি শেষ হয়। পরে এজলাস ছেড়ে উঠে যান বিচারপতিরা। ৬ বিচারপতি মিলে ভেতরে ১৫ মিনিট পরামর্শ করার পর এই আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এ সময় পিন পতন নীরবতা ছিল এজলাস কক্ষ।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন চায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা আদালতে আসার কথা ছিল।

তবে নির্ধারিত দিনে সেটি আদালতে না আসায় জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিন প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। প্রধান বিচারপতি সেদিন ১২ ডিসেম্বর শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখে তার আগেই প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া নিয়ে সেদিন আদালতে ব্যাপক হৈ চৈ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছায়। আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে ওই অবজারবেশন দেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১২, ২০১৯)