স্টাফ রিপোর্টার : কেরানীগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের সবার অবস্থা খারাপ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক। কেরানীগঞ্জের ঘটনায় যে রোগীগুলো হাসপাতালে এসেছে, তাদের সবার অবস্থা খারাপ। হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ স্টাফরা অনেক কষ্ট করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ঢামেক বার্ন উইনিটে ভর্তি দগ্ধদের খোঁজ-খবর নেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক। কেরানীগঞ্জের ঘটনায় যে রোগীগুলো হাসপাতালে এসেছে, তাদের সবার অবস্থা খারাপ। হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ স্টাফরা অনেক কষ্ট করেছেন। এখনো যারা ভর্তি আছেন তাদের অবস্থা খারাপ। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খবর রাখছেন। সরকারি করছে তাদের চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, অনেক কারখানা আছে যারা নিয়ম কানুন মেনে কাজ করে না। অনেক জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারে না। এ বিষয়ে মালিকদের সতর্ক থাকতে হবে। তাদের উদাসীনতাই এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ যেখানে আগুন লেগেছে। সেখানে নিশ্চয় আগুন নেভানোর সরঞ্জাম ছিল না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পুরান ঢাকার কয়েক জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য সরকার তাদের জন্য বড় জায়গা করে রেখেছে। পুরান ঢাকার ক্যামিকেল গোডাউনগুলো সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। সব কারখানায় ফায়ার সেফটি ভালো রাখতে হবে। দুর্জয় নামে একজন রোগী ছিল। নিজ ইচ্ছায় তাকে বাসায় নিয়ে গেছে।

বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, যেসব রোগী এসেছে সবগুলোই মেজর। বন্ধ ঘরে আগুন লাগলে যে অবস্থা হয়। এ আগুনটাও তেমন ছিল। এখন পর্যন্ত বার্ন ইউনিটে ১১ জন মারা গেছে। ভর্তি আছে আরও ২০ জন। তাদের মধ্যে পুরান বার্ন ইউনিট থেকে ১১ জনকে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট নেয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে কেরানীগঞ্জের ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ওই ঘটনায় ৩০ জনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন উইনিটে ভর্তি করা হয়।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১২, ২০১৯)