স্পোর্টস ডেস্ক : টপঅর্ডারে তামিম ইকবাল-এনামুল হক বিজয়, মিডল অর্ডারে থিসারা পেরেরা-শহীদ আফ্রিদি, নিচের দিকে মাশরাফি বিন মর্তুজা; ঢাকা প্লাটুনের একাদশটা গড়া এমনই একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার দিয়ে। কিন্তু নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারকাবহুল দলটি বিপর্যয়ের মুখে পড়লো রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে।

উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়ব্যতীত আর কেউই পাননি রানের দেখা। ব্যর্থতার বৃত্তে আটকা পড়েছেন তামিম ইকবাল, থিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদিরা। যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। আসরের প্রথম জয় পেতে রাজশাহীকে করতে হবে ১৩৫ রান।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে মাশরাফি-তামিমদের আগে ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানান রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তামিম ইকবাল।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪ বল খেলে একটি বাউন্ডারি মেরে মোট ৫ রান করেন তামিম। রাজশাহীর পেসার আবু জায়েদ রাহীর করা সে ওভারের পঞ্চম বলে আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল।

উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি লরি ইভানস। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় তিনি ফেরেন ১৪ বলে ১৩ রান করে। তৃতীয় উইকেটে চাপ সামাল দেয়ার চেষ্টায় জুটি গড়েছিলেন জাকের আলি অনিক ও এনামুল হক বিজয়।

দুজন ভালোই এগুচ্ছিলেন। কিন্তু ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রানআউটের শিকার হয়ে জাকের ফিরতে মোড়ক লাগে ঢাকা ইনিংসে। চোখের পলকে ২ উইকেটে ৭৮ থেকে ৬ উইকেটে ৮৩ রানের দলে পরিণত হয় তারা।

এসময়ের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন জাকের (১৯ বলে ২১), থিসারা পেরেরা (৩ বলে ১), এনামুল হক বিজয় (৩৩ বলে ৩৮) ও শহীদ আফ্রিদি (১ বলে ০)। খানিক পরে দলীয় ৯১ রানের মাথায় ফিরে যান ১১ বলে ৫ রান করা আরিফুল হকও।

মাত্র ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একশ'র আগেই অলআউটের শঙ্কায় পড়ে যায় ঢাকা। সেখান থেকে দলকে বলার মতো সংগ্রহ এনে দেন ওয়াহাব রিয়াজ ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এ দুজন ২৩ রানের জুটি গড়ার আগে ১৪ বলে ৬ রান করে আউট হন মেহেদি হাসান।

ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ১ ছয়ের মারে ১২ বলে ১৯ রান করেন ওয়াহাব। অধিনায়ক মাশরাফির ব্যাট থকে আসে ২ ছক্কার মারে ১০ বলে ১৮ রান। দুটি ছক্কার ইনিংসের শেষ ওভারে হাঁকান মাশরাফি। ওয়াহাব ও মাশরাফির ব্যাটে চড়েই মূলত লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে ঢাকা।

রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে ৪৩ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহী। এছাড়া তাইজুল ইসলাম, অলক কাপালি, ফরহাদ রেজা ও রবি বোপারার প্রত্যেকে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১২, ২০১৯)