বিশেষ প্রতিনিধি : বাঙ্গালি জাতিকে মেধাশূণ্য করেতেই স্বাধীনতার উষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠসন্তান শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধীরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। একাত্তরে বুদ্ধিজীবীরা তাদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে বিপুল অবদান রেখেছিলেন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানের অনাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকতেন সমাজের সর্বস্তরের বুদ্ধিজীবীরা। তারা বাঙালিদের বাঙালি জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাদের অবদানের কারণেই জনগণ ধীরে ধীরে নিজেদের দাবি ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠতে থাকে যা পরবর্তীতে তাদের রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। আর সে কারণেই মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়েছিলেন। তাই যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানী বাহিনী বাছাই করে করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে। আর যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যখন তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত হয়ে উঠে তখন বাঙালি জাতিকে মেধা-শূন্য করে দেবার লক্ষ্যে তালিকা তৈরি করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

তিনি আরো বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে শোষণমুক্ত রাষ্ট্র নির্মান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক কল্যাণমূলক সমাজ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ ‘সার্থক’ হবে।

বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ূন কবির, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, মহিলা সম্পাদিকা সাদিয়া ইসলাম ইমন, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯)