নিউজ ডেস্ক : সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। ভারতের নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তেজনার পর মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারির কারণে বাংলাদেশিরা বৈধ ভিসা নিয়েও ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এমন বাধায় বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি পর্যটক ও রোগীরা।

আগে থেকে না জানায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে অনেক পর্যটক তামাবিলে জড়ো হন। বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন আটকে দেয়। ফলে ভারতের ডাউকি থেকে ফিরে আসতে হয় তাদের। সিলেটের তামাবিল দিয়ে ডাউকি হয়ে সাধারণত ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বেড়াতে এবং কলকাতা ও গুহাটিতে ডাক্তার দেখাতে যান বাংলাদেশিরা।

শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় পর্যটকদের ভিড়ও ছিল তুলনামূলক বেশি। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে কারফিউ জারি করা হয়।

সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান মিয়া জানান, বেলা ১১টা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আমরা শতাধিক যাত্রীকে ভারতে ছাড়ি। তবে কিছুক্ষণ পরই তারা ভারতের কাস্টমস থেকে ফিরে আসেন। তাদেরকে যেতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।

রমজান মিয়া বলেন, এর কিছুক্ষণ পর ভারতীয় কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা এসে মেঘালয়ের অস্থিরতার কারণে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানান এবং আজকে আর যাত্রী না ছাড়তে আমাদের অনুরোধ করেন। এরপর থেকে আমরাও আর কোনো বাংলাদেশিকে পাস দিচ্ছি না।

শিলংয়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্যে শুক্রবার সকালে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তামাবিলে হাজির হন কুমিল্লার সাদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ডাউকিতে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখার পর ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের দেশে ফিরিয়ে দেন। এ ব্যাপারে তারা আগে থেকে কিছু জানায়নি। ফলে আমাদের মতো অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ভারতের ডাউকি কাস্টমস অফিসের কাস্টমস কর্মকর্তা ডেকলিন রেনজা বলেন, কারফিউয়ের কারণে শিলংয়ে হোটেল-দোকানপাট সব বন্ধ আছে। পর্যটকদের দুর্ভোগ আর নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের যেতে দিচ্ছি না। পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার বাংলাদেশি পর্যটকরা যেতে পরবেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার তামাবিল দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ সফর বাতিল করেন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ভারতে তার পূর্ব নির্ধারিত সফর বাতিল করেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯)