স্টাফ রিপোর্টার : হাতে পুষ্পাঞ্জলি, আবার অনেকের কাছে রয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে লেখা ব্যানার। অনেকেই নিয়ে এসেছেন লাল-সবুজের বড় ছোট পতাকা। উদ্দেশ্য একটাই, বাংলার সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ভোর থেকেই রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা জনতার ঢল নামে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনতার স্রোত।

শহীদদের স্মরণ করার পর সাধারণ মানুষদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা স্বপ্ন দেখছেন একটি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। তারা বলছেন, ‘এবার আর আক্ষেপ নয়, পেছনে তাকানো নয়, এখন সময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার।’

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে যারা এসেছেন তারা বলেন, ‘দেশের প্রতি ত্যাগের মাধ্যমেই বড় হওয়া যায়, এটাই তারা শিখিয়েছেন। স্বাধীনতার এতদিন পরও আমরা রাজাকারমুক্ত হতে পরিনি। এখন আমাদের রাজাকারমুক্ত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পালা।’

বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে সকালে মানুষের ঢল নামে। বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিটিভির সাবেক ডিজি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. হামিদ বলেন, ‘এখনো একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে শহীদ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করার সাহস রাখে দৈনিক সংগ্রাম। এদের যথাযথ শাস্তি না দিলে যে লক্ষ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছে তা পূরণ হবে না।’

অবশ্য এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দৈনিক সংগ্রামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, ‘ইতোমধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত অনেকের বিচারের রায় কার্যকরের ফলে স্বস্তি বোধ করছি। তবে এখনও পলাতক রয়েছে অনেকে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করতে হবে।’

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের দুইদিন আগে বুদ্ধিজীবী হত্যায় প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরা। শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মরদেহ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজারে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯)