কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার দূর্যোগ কবলিতলালুয়া ইউনিয়নের চারটি গ্রামের উপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে গেছে।

সোমবার রাতে সাড়ে ১২টায় কয়েক মিনিট স্থায়ী এ টর্নেডোতে চর চান্দুপাড়া, মঞ্জুপাড়া, চান্দুপাড়া ও নাওয়াপাড়া গ্রামের পাঁচটি ঘর সম্পূর্ন বিধ্বস্ত ও অন্তত ২০ টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টর্নেডোর তান্ডবে উপড়ে গেছে শতশত গাছপালা। এছাড়া টর্নেডোর তান্ডবে সৃষ্ঠ ঘূর্নিবাতাসে রাতে চাড়িপাড়া ও নাওয়াপাড়া বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশদিয়ে পানি প্রবেশ করে ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে রাতে হাজার হাজার মানুষ সীমাহীন র্দর্ভোগে পড়ে। শতশত মানুষ রাতে ঘর ছেড়ে বাইরে নিরাপদে আশ্রয় নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জুপাড়া গ্রামের মো.শাহাবুদ্দিন হাওলাদার জানায়, আমরা ঘুমাতে যাবো ঠিক তার আগ মুহুর্তে দক্ষিন-পূর্ব দিক দিয়ে এ টর্নোডো আঘাত হানে। তবে এতে কোন প্রানহানির ঘটনা ঘটেনি। চর চান্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফারুক খান বলেন, টর্নেডো অন্তত দুই মিনিট স্থায়ী ছিল। চর চান্দুপাড়া এলাকার ইউপি সদস্য মো.আবুল বাশার জানায়, রাতে যখন তিন গ্রামের মানুষ ঘভীর ঘুমে, তখন টর্ণেডো বয়ে যায়। টর্ণেডোটি মূহুর্তের মধ্যে সব কিছু তছনছ করে দিয়ে যায়। এতে চর চান্দুপাড়া গ্রামের এমদাদ হাওলাদার, মনির হাওলাদার এবং মঞ্জুপাড়া গ্রামের হান্নান গাজী, মিন্টু গাজীর এবং নাওয়াপাড়া গ্রামের বাসারের বসত ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া চর চান্দুপাড়া গ্রামের সান্টু গাজী, জাহাঙ্গীর আকন, শাহিন তালুকদার, নয়ন খাঁন, আবু কালাম, হেলাল হাওলাদার, মো.আনোয়ার হোসেন, জাসির মৃধা, মঞ্জুপাড়া গ্রামের তাসিনা বেগম ও খলিল মাষ্টারের ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মীর তারিকুজ্জামান তারা জানায়, টর্ণেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো তিনি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পরিদর্শন করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

(এমেকআর/এটিআর/আগস্ট ০৫, ২০১৪)