বিনোদন ডেস্ক : ছোটবেলা থেকেই ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। অনেক চিকিৎসাই দেয়া হয়েছে তাকে। খুব একটা উন্নতি কিছু হয়নি। একটা সময় অসুখ মারাত্ম আকার ধারণ করে। পায়েলের মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। অবশেষে অসুখের সঙ্গে লড়াই করতে করতে আর পেরে উঠলেন না। পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে পায়েল ডিকি সিনহা আর নেই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় মৃত্যু হয় পায়েল ডিকি সিনহার। মৌসুমীর মেয়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে।

স্পটবয় ডট কম জানিয়েছে, শৈশবেই ডায়াবেটিক ছিলেন পায়েল। সেই অসুখ নিয়েই বড় হয়েছেন। ২০১০ সালে ডিকি সিনহার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পায়েলের। বিয়ের কয়েক বছর পরই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন মৌসুমী কন্যা।

ডায়াবেটিসের কারণে গুরুতর অসুস্থ হলে ২০১৭ সাল থেকে হাসপাতালে রাখা হয় পায়েলকে। পরে ২০১৮ সালে কোমায় চলে যান পায়েল। তখন স্বামী তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।

তখন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে চরম অবহেলা আর অযত্ন করা হয়েছে এই অভিযোগে জামাইয়ের বিরুদ্ধে বোম্বে আদালতের দ্বারস্থ হন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী জয়ন্তও।

এমনকী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় ও তার স্বামী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়কে তাদের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগও তুলেছিলেন তারা।

জানা গেছে, শেষ কয়েক বছর বিছানার সঙ্গে প্রায় মিশে গিয়েছিলেন পায়েল। যে কোনো সময় মেয়ের মৃত্যু ঘটতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পায়েলের মানসিক চিকিৎসা বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

পায়েল ছিলেন বিখ্যাত গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নাতনি। হেমন্ত’র পুত্র জয়ন্ত’র দুই কন্যা। পায়েল ও মেঘা। পায়েল কখনো শোবিজে পা না মাড়ালেও মেঘা অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯)