স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর এদেশীয় বর্বর রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের সহযোগিতায় দখলদার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার মধ্য দিয়ে পুরো জাতিকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল! একে একে হত্যা করে দেশের সুর্যসন্তানদের। আর স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছরের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, আজও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও তাদের বংশধরের ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। হত্যা করা হয়েছে এ প্রজন্মের বুদ্ধিজীবী লেখক, ব্লগার ও প্রকাশককে। এদের প্রতিহত করতে আমাদের ঐক্যবন্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ফুলেল শ্রদ্ধায় দেশের সুর্যসন্তানদের স্মরণ করার মধ্য দিয়ে সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিবের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ আহ্বান জানান।

বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরেও স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের মুখপত্র ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকা স্বাধীনতার পরবর্তী প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে নানাভাবে মিথ্যাচার করছে। অন্যদিকে আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একজন কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লা’র নামের আগে ‘শহীদ’ শব্দটি উল্লেখ করতেও তারা সংঘবন্ধ!

তিঁনি আরও বলেন, সরকারের উচিত সঠিক তথ্য নির্ভর জাতি গঠনে দৈনিক সংগ্রামসহ এই ধরনের প্রচার প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের আইনের আওতায় নিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং সেই সাথে চিরতরের জন্য এইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা। অন্যদিকে, স্বাধীনতার পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও রাজাকারের বংশধরদের বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক সাজেদা হক, বোয়াফ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, সদস্য মো. কাজী কাদের, আরিফ হোসেন, আবু সাইদ আরও অন্যান্য নেতাকর্মী।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯)