স্পোর্টস ডেস্ক : কয়েক আসর ধরেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিনটি মাঠে। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালের আগে বিপিএল ঘুরে আসে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে।

তিন মাঠে খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে আগের দুই আসরেই একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটি হলো সিলেট এবং চট্টগ্রামে যেমন রানের ফোয়ারা ছোটে, চার-ছক্কার মারে উন্মাতাল হয় গ্যালারি, তার কাছাকাছিও হয় না মিরপুরের শেরে বাংলায়। স্লো ও লো উইকেটে বোলাররাই ছড়ি ঘোরান বেশিরভাগ ম্যাচে।

গত দুই আসরে এ অভিযোগ মিললেও, এবার যেনো তা থেকে মুক্তি পাচ্ছে দেশের হোম অব ক্রিকেট। আসরের প্রথম ম্যাচ থেকেই দেখা গিয়েছে রানের ফোয়ারা। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। যা দেখা গিয়েছে ঢাকার প্রথম পর্বের পুরো চারদিন জুড়েই।

শুধুমাত্র প্রথম ম্যাচেই দুই দল (সিলেট থান্ডার ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) মিলে ছক্কা হাঁকিয়েছে ১৬টি, বাউন্ডারি ছিলো ২১টি। এই ধারা বজায় ছিলো অষ্টম ম্যাচেও। যেখানে ঢাকা প্লাটুন ও সিলেট থান্ডারের ব্যাটসম্যানরা ১১ ছক্কার সঙ্গে মেরেছেন ৩৩টি চার।

তবে সবচেয়ে বেশি ১৭টি ছক্কা হয়েছে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মধ্যকার চতুর্থ ম্যাচে, যেখানে ছিলো ২২টি চারের মারও। সবমিলিয়ে মোট ৯৭টি ছক্কা ও ১৮৫টি চার হয়েছে এই চারদিনের ৮ ম্যাচে। সবচেয়ে বেশি ২৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ৪২টি চার মেরেছে ঢাকা প্লাটুন।

আগামী ১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হবে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব। এখানেও চারদিনে হবে ৮টি ম্যাচ। তার আগে দেখে নেয়া যাক বাউন্ডারি সংখ্যায় কোন দলের অবস্থা কেমন:

দল

ছয়

চার

মোট

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

২৯

২৩

৫২

ঢাকা প্লাটুন

১৮

৪২

৬০

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স

১৫

৩১

৪৬

সিলেট থান্ডার

১৩

৩৬

৪৯

রাজশাহী রয়্যালস

২৫

৩৩

খুলনা টাইগার্স

১৬

২৩

রংপুর রেঞ্জার্স

১২

১৯

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯)