স্টাফ রিপোর্টার : যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ নিমারের পাদদেশে তারা এই প্রতীকী অনশন করেন। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের নেতৃত্বে এই অনশন চলে।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বলছে, আজ বিজয় দিবসের এই দিনে সরকারকে দৈনিক সংগ্রামের ডিক্লারেশন বাতিল করতে হবে। না করলে আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

সংগ্রামের ডিক্লারেশন বাতিল ছাড়া তাদের অন্য চার দাবি হলো-পত্রিকাটিতে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অপরাধে তথ্য মন্ত্রণালয় ও পিআইবির দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই সংবাদ পরিবেশনের সঙ্গে জড়িত গ্রেফতার হওয়া সম্পাদক আবুল আসাদকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও সাংবাদিক রুহুল আমিনসহ বাকিদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার অপরাধে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয় বাজেয়াপ্ত করে অনুকূলে নিতে হবে। আইন করে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধী ও তাদের বংশধরদের তালিকা করে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে নিতে হবে।

২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ষষ্ঠ শাহাদতবার্ষিকী আজ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এর প্রতিবাদে পত্রিকাটিকে নিষিদ্ধ করা এবং সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেফতর ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পত্রিকা অফিস ঘেরাও কর্মসূচি দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। কর্মসূচি চলাকালে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে সংগ্রাম কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় একদল যুবক।

প্রকাশিত প্রতিবেদনের ঘটনায় দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। এ মামলায় শনিবার তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯)