গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা পলাশবাড়ির গোপালপুরে হালিম মিয়া নামক এক নির্মাণ শ্রমিক গ্রেফতারি ফরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ তিঁনি নিজেও জানেন না, কী তাঁর অপরাধ। আর কেনই বা তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দীর্ঘ আট বছর এবং মামলার উল্লেখিত ঘটনার দিনও নির্মাণকাজে ঢাকায় অবস্থান করার পরেও এই নির্মাণ শ্রমিকের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ি থানায় মামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের নাশকতার মামলায় তিনশ জনের মধ্যে একশ আট নম্বর তালিকায় নির্মাণ শ্রমিক হালিম মিয়ার নামও মামলায় নথিভুক্ত।

এই প্রতিবেদককে হালিম মিয়া তার নির্মাণ কাজের উপস্থিতির রেজিষ্ট্রার খাতা খুলে ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর ঢাকায় নির্মাণ কাজে কর্মরত অবস্থানের বিষয়টিও নিশ্চিত করে বলেন, আমি একজন নির্মাণ শ্রমিক। কাজে গেলে পেটে ভাত জোটে। না গেলে অনেক দিন না খেয়েই থাকতে হয়। আমি কখনো কোনও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। অন্যদিকে জামায়াতের সাথে তো থাকার প্রশ্নই উঠে না।

হালিম মিয়া আরও জানান, মামলায় আমার বাবাকে মৃত দেখানো হয়েছে। অথচ তখন আমার বাবা জীবিত ছিল। কেউ ষড়যন্ত্র করে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলায় আমার নাম দেওয়া হয়েছে। আর ২০১৪ সালের মামলার খবর আমি এবার কোরবানীর ঈদ করতে গাইবান্ধায় গেলে তখন জানতে পারি।

এলাকার অনেকের সাথে কথা বললে জানা যায়, তারাও বিষয়টি নিয়ে অবাক হয়েছেন। দোকানদার সুরুজ আলী নামক এক ব্যক্তি বলেন, হালিম মিয়া অত্যন্ত গরীব। যতটুকুজানি সে ঢাকায় বাড়িঘর নির্মাণ কাজ করে। গাইবান্ধায়ও তেমনটা আসে না। অথচ তার জীবিত বাবাকে মৃত করেই তার বিরুদ্ধে মামলা। এখানে কেউ ষড়যন্ত্র করেছে অথবা কোথাও ভুল হয়েছে।

নির্মাণ শ্রমিক হালিম মিয়া জানান, তার কাছে মামলার টাকা পয়সা নেই। এটি জোগার করে আদালতে ন্যায় বিচারের আশায় দাঁড়াবেন। তিনি আশাবাদী, নিশ্চয় আদালত ন্যায় বিচার করবেন।

এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘আমি নতুন এসেছি। তদন্ত চলছে। নিরাপরাধ হলে নিশ্চয় তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯)