স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৈরি রাজাকারের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার চেয়ে তিন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর ও ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন চিঠি পাঠানোর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ চিঠি নাম প্রত্যাহারের আবেদন নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার ভাষায়, এটা কোনো আবেদন নয়। আমরা চিঠি পাঠিয়েছি।

১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে। তবে এ তালিকায় এমন কিছু নাম এসেছে যা তালিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তেমনই একটি নাম গোলাম আরিফ টিপু; যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর ও ভাষাসৈনিক।

বঙ্গবন্ধুর স্বজন ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের হাতে নিহত শহীদ সেরনিয়াবাতের বাবা আব্দুল হাই সেরনিয়াবাতের নামও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায়।

রাজাকারের তালিকায় নাম উঠেছে বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ও বন্ধু মজিবুল হকের। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ছিলেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ছিলেন মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের সভাপতিও।

রাজাকারের তালিকায় গোলাম আরিফ টিপুর নাম আসার পর মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারসহ গোটা বাঙালি জাতির পবিত্র আমানত। সেই মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত রাজাকারের তালিকায় আমার নাম যুক্ত থাকায় আমি হতবাক, বিস্মিত, মর্মাহত ও অপমানিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাজাকারের তালিকা প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে সীমাহীন অযত্ন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে অত্যন্ত অবহেলার সঙ্গে এ তালিকা প্রচার-প্রকাশ করেছে। বিষয়টি প্রমাণিত।’

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চলে আসায় মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, ভুলের পরিমাণ বেশি হলে রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। আর ভুলের পরিমাণ কম হলে ভুলবশত যাদের নাম এ তালিকায় এসেছে, সেগুলো প্রত্যাহার করা হবে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯)