সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী নিয়োগে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ কমিটি ও একটি প্রভাবশালী মহলে নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে চলছে দ্বন্দ্ব। ফলে ৩ মাসেও নিয়োগ চুড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। এতে করে নিয়োগ প্রত্যাশীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার ১৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে জনবল নিয়োগের জন্য গত ১১ মে তাড়াশ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়। বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে হামকুড়িয়া, মধ্য নাদোসৈয়দপুর, ওয়াশিন, কোহিত, বাশবাড়িয়া, বারুহাস, তালম, দেশীগ্রাম, শ্রীকৃষ্ণপুর, জাহাঙ্গীরগাতী, চর কুশাবাড়ি, পেঙ্গুয়ারী, গুড়পিপুল, মাকরশোন, চকরসুল্লাহ, কুন্দাশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই পরীক্ষায় প্রতি পদের জন্য ৩ জন করে প্রার্থী বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত প্রার্থীদের নিকট থেকে নিয়োগ কমিটির কতিপয় অসৎ লোক ও একটি প্রভাবশালী মহল ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহন করে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে। ঘুষের ওই টাকা ভাগাভাগি ও পছন্দের প্রার্থীদেরকে নিয়োগ দেয়া নিয়ে নিয়োগ কমিটি এবং একটি প্রভাবশালী মহলের মধ্যে চলছে নানা রকমের দ্বন্দ। ফলে নিয়োগ পরীক্ষার ৩ মাস অতিবাহিত হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নিয়োগ প্রত্যাশীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।

এ দিকে গত ২৭ জুলাই ওই প্রার্থীদেরকে নোটিশের মাধ্যমে ডেকে ইউএনও অফিসে আবারও নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার নাম করে সাদা কাগজে প্রার্থীদের শুধু নাম ঠিকানা স্বহস্তে লিখে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে নিয়োগ প্রত্যাশী ও সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও উপজেলার ১৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম-নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগে অন্ততঃ কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য হয়েছিল। এ দু’টি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনেকাংশেই সরকারী নিয়ম-নীতি মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে এলাকার সচেতন মহলে। এ ব্যাপারে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার সোলাইমান আলী কথা বলতে নারাজ।

(এসএস/অ/আগস্ট ০৫, ২০১৪)