স্টাফ রিপোর্টার : সদ্য সম্পন্ন কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের সংশোধিত গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করবে। তবে এ সংশোধন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আইনসিদ্ধ হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ৫৭তম কমিশন সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সিইসি।

এক সাংবাদিক জানতে চান, গতকাল (শনিবার) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। কাউন্সিলে দলটি তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দলের সব স্তরে নারী নেতৃত্ব ৩৩ শতাংশ নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা ২০২০ সালের পরিবর্তে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) এখন পর্যন্ত ২০২০ সাল থাকার পরও তাদের গঠনতন্ত্রের এ পরিবর্তন আইনসিদ্ধ হয়েছে কি না?

জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমাদের কাছে আইনসিদ্ধ হয়নি। রাজনৈতিক দল কীভাবে কী করেছে, সেটা তাদের বিষয়। আমাদেরটা এখন পর্যন্ত বলবৎ আছে যে, ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব হতে হবে।’

নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে সময় বাড়াবেন? জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, ‘তখন পর্যন্ত কোনো দল যদি এটি পূর্ণ করতে না পারে, তখন সেটা বিবেচনা করা যাবে। এটা অ্যাডভান্স বলা যাবে না।’

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২২, ২০১৯)