সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : সরকার নির্ধারিত মূল্যে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান ক্রয় করার জন্য প্রকৃত কৃষকদের তালিকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে আওয়ামীলীগ ও কৃষকরা।

কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঞা কৃষি বিভাগকে দায়ী করে এ অভিযোগ তুলেন। সোমবার তিনি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কৃষক তালিকা প্রণয়নের কৃষি বিভাগের অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির বিষয়টি তদন্তেরও দাবি জানান।

কেন্দুয়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের প্রকৃত কৃষকদের তালিকা সংগ্রহের জন্য উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের উপর দায়িত্বপরে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে উপজেলার কতিপয় উপ-সহকারি কৃষিকর্মকর্তা নিজেদেরকে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির সঙ্গে জড়িয়ে মনগড়া ভাবে কৃষকের তালিকা সংগ্রহ করেছেন। এতে প্রকৃত কৃষকরা বাদ পড়েছেন।

এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঞা অভিযোগ করে বলেন, বলাইশিমুল ইউনিয়নের সরাপাড়া ও চিরাং ইউনিয়নের চিথোলিয়া ব্লকে অনিয়ম অনেক বেশি হয়েছে। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্যদের সুবিধা পাইয়ে দিতে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি এসব অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির সুষ্টু তদন্তেরর দাবি করেন।

উপজেলা খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মোহন দত্ত বলেন, ২৬ টাকা কেজি দরে কেন্দুয়া উপজেলায় ১ হাজার ৯শ ৭৩ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ কৃষকদের যে চুড়ান্ত তালিকা আমাদের হাতে দিয়েছেন, তালিকার সেই কৃষকদের কাছ থেকেই সরকারি নিয়ম মোতাবেক ধান ক্রয় করা হবে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীন ধান সংগ্রহ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, কৃষক তালিকা সংগ্রহের জন্য সব এলাকায় মাইকে প্রচারনা চালানো হয়েছে। এরপর সংগৃহিত তালিকা থেকে চুড়ান্ত ভাবে কৃষকের নাম নির্বাচনের জন্য লটারির আয়োজন করা হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, কৃষকদের তালিকা সংগ্রহ করার আগে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে মাইকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। তাছাড়া চুড়ান্ত ভাবে তালিকা প্রণয়নে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের নামের তালিকা নির্বাচন করা হয়। সে ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা স্বজনপ্রীতি হয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।

(এসবি/এসপি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯)