রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : পত্রিকা বিক্রি করে ন্যয্য কমিশন প্রাপ্তি, হকারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে  হয়রানিমূলক মিথ্যা অভিযোগ না করা, ইউনিয়নের পচিয়পত্র ছাড়া পত্রিকা বিক্রি না করাসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়ন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মোড়ে পুলিশ বক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মাননন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠণটির সভাপতি এবাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সদস্য সাবান আলী, জাহিদ হোসেন, আলাউদ্দিন, মকবুল হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এজন্য তাদের কঠোর পরিশ্রমের ন্যয্য মূল্য তারা পান না। খুলনা অথবা যশোরে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকার যেভাবে কমিশন দেওয়া হয় সাতক্ষীরার ইসলাম ট্রেডার্স বা অন্য এজেন্টরা তাদেরকে তা দেন না। এজেন্টদের ভাল না লাগলে তারা হকারের কাগজ বন্ধ করে দেন। একজন হকারের পরিবর্তে অন্য হকারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে হুমকি দিয়ে লাইনে অন্য হকার ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

এ জন্য প্রয়োজনে তারা গ্রাহকদের কৌশলে হুমকি দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ইসলাম ট্রেডার্স এর নির্দেশ মেনে পত্রিকা লাইন ছেড়ে দিয়ে তার মনোনীত লোককে লাইন বুঝিয়ে না দিলে হকারদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন শাখায় হয়রানিমূলক মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। বকেয়া ১০০ টাকা থাকলে তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে থানায় বা আদালতে হকারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য তারা জিএম নূর ইসলামের প্রতি আহবান জানান।

দৃষ্টিপাত পত্রিকার প্রথম পাতায় ম্যানেজার বুলবুল এর বরাত দিয়ে তাদের সংগঠনের সদস্যদের ইঙ্গিত করে পত্রিকা চুরির যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ নীতি বহির্ভুত। আগামিতে তাদের সংগঠণের সদস্য বা সংগঠণ বহির্ভুত হকারদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অশোভনীয় ইঙ্গিত করলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেন বক্তারা। তাদের দাবি দাওয়া আগামি সাত দিনের মধ্যে মেনে নেওয়া না হলে বৃহত্তর কর্মসুচি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯)