স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী গ্রামের এক আওয়ামীলীগ পরিবারের বাড়ী ও দোকানে হামলা চালিয়ে প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করার আট মাস পেড়িয়ে গেলেও ধারে ধারে ঘুরে প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারটি। ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারটি অভিযোগ করে বলেন, মামলা দিয়ে হয়রানিসহ উচ্ছেদের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী কাকনী গ্রামের মৃত আনিসুজ্জামান খান এর পুত্র আতাউর রহমান খান কলিনসহ কতিপয় বিএনপি’র দুস্কৃতিকারী। জোরপূর্বক তাদের জমিতে বেড়া প্রদান করেছেন। ক্ষমতার দাপটে ভগ্নিপতি পচনের সাথে আতাত করে পৈর্তৃক ভিটে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছেন প্রভাবশালী মহলটি। 

ভুক্তভোগী একই গ্রামের মৃত নূরুল ইসলাম সরকারের স্ত্রী ফজিলা খাতুন ও পুত্র লিটন মিয়ার দোকান ও বাড়িতে ভাংচুর চালায় এলাকার আতাউর রহমান খানসহ কতিপয় দুস্কৃতিকারী। লিটন মিয়াসহ তার স্বজনরা নিকটস্থ থানায় ন্যায় বিচারের জন্য প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে উল্টো অভিযোগ গ্রহন না করে ভোক্তভোগী পরিবারটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ন্যায় পুলিশ।

এ বিষয়ে প্রভাবশালী আতাউর রহমান খান বলেন, তিনি লিটনের ভগ্নিপতি ফয়জুর রহমানের নিকট থেকে জমিটি ক্রয় করেছেন। পরিবারটিকে উচ্ছেদের পায়তারা করছেন না। ক্ষমতার দাপটে কাজ করলে একদিন ও ওরা উক্ত জমিতে থাকতে পারবে না। বিষয়টি নিয়ে তারাকান্দা থানায় একাদিক সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে মুঠো ফোনে বলেন, বিষয়টি তিনি সঠিক ভাবে জানেন না। থানায় কোন সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হয়নি। যতটুকু শুনেছেন পচন নামক এক ব্যক্তির নিকট থেকে উক্ত জমিটি আতাউর রহমান খান কলিন সাবকাওলা দলিল মূলে ক্রয় করেছেন। তাদের একটি মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় ভাবে ফয়সালা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

নিজেদের পৈর্তৃক ভিটে বাড়ি ফেরত পেতে প্রধান মন্ত্রীসহ স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান পরিবারটি। এ অবস্থায় লিটনের পক্ষে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সহায়তা পেতে স্থানীয় আওয়ামী নেতৃবৃন্দসহ শতাধিক লোক গণস্বাক্ষর দিয়ে সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ’র স্বরনাপর্ণ হন।

(জেসিজি/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯)