চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে ইটভাটার মালিকরা মানছে না ইট তৈরি ও ভাটা স্থাপন আইন। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো আবাসিক, কৃষি জমি ও পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করেছে। আর এসব ইটভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে মূল্যবান বনজ ও ফলদ গাছ। ভাটার ধূলা, কালো ধোঁয়া ও আগুনের তাপে ধ্বংস হচ্ছে নিকটবর্তী এলাকার সবুজ মাঠ,বনজ সম্পাদ ও ফলদ গাছ। এসকল ইটভাটার কোন প্রকার অনুমোদন নেই। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র কিংবা কৃষি বিভাগের প্রত্যায়নপত্র। 


চাটমোহর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা কামালপুর গ্রামে একেবি ব্রিকস নামের ইট প্রস্তুতকারী এমনই একটি অবৈধ ইটভাটায় দিনরাত অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটাটি ফসলী জমির মাঝখানে স্থান করা হয়েছে। কোন প্রকার নিয়মনীতিই মানা হচ্ছে না। নেই কোন প্রকার অনুমোদন। ইটভাটায় প্রতিদিন শত শত মণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ধোঁয়ার কারণে মরে যাচ্ছে গাছপালা। পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার চারপাশে শত শত মণ কাঠ সাজানো। গাড়িতে করে গাছ কেটে এনে কাঠ পরিমাপ করা হচ্ছে প্রকাশ্যে ভাটার সামনে। ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে গাছের গুড়ি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র দরকার নেই বলে দাম্ভিকতার সাথে বললেন ভাটার মালিক পরিচয়দানকারী ঈশ্বরদী উপজেলার বাসিন্দা আয়ুব আলী।

আইয়ুব আরো বললেন, ‘দেশে কত কিছু অবৈধ, আমি তো ইটের ভাটা চালাচ্ছি। তাছাড়া বিজয় দিবসের চাঁদা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। অন্য জায়গায় ম্যানেজ করতে হয়। ফলে লেখালেখি করে কোন কিছুই হবে না।

এ,কে,বি ব্রিকস নামের ইট প্রস্তুতকারী এই ইটভাটায় প্রতিদিন হাজার হাজার মণ কাঠ কিনে প্রকাশ্যেই পোড়ানো হচ্ছে। কেউ দেখছে না। প্রশাসন রয়েছে নীরব। দিনরাত শুধু খড়ি দিয়েই ইট পুড়ছে। লাইসেন্স বা কোন প্রকার অনুমোদনের ধার ধারছেন না ভাটা মালিক।

এলাকাবাসী জানান, এলাকার কতিপয় ব্যক্তির সহায়তায় ঈশ্বরদী থেকে এসে ফসলী জমির মাঝে এই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। দিনরাত খড়ি কিনে ভাটায় আনা হচ্ছে। উজার হচ্ছে এলাকার গাছপালা। পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। কিন্তু প্রশাসনের কেউ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯)