নওগাঁ প্রতিনিধি : উত্তরের নওগাঁ জেলা তীব্র শীতে ঠকঠক করে কাঁপছে। জেলা জুড়ে প্রচন্ড শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে বৃদ্ধ ও শিশুরা বিপাকে পড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে অসহায় পরিবারগুলোকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে আশার কথা সরকারি ও বেসরকারী পর্যায়ে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ পুরোদমে চলছে। শীতের কারনে খেটে খাওয়া মানুষগুলো ঘরের বাইরে যেতে পারছেনা। তীব্র শীতে বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। কৃষক মাঠে কাজ করতে পারছেনা। 

জানা গেছে,গত এক সপ্তাহ থেকে উপজেলার সর্বত্র ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা। একারণে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে।

শুক্রবার এ জেলায় ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা নেমে আসে। শৈত্যপ্রবাহের ফলে মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। হটাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারনে খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষরা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে।

এছাড়া শীতের কারণে বৃদ্ধ ও শিশুরা অসহায় জীবন যাপন করছে। গরম কাপড়ের অভাবের ছিন্নমুল মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তবে রিক্সা, ভ্যান,অক্টো চার্জারের যাত্রী ও চালকরা প্রয়োজনের তাগিদে ঘন কুয়াশার মধ্যেই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে গবাদি পশু তীব্র শীতের মধ্যে গো খাদ্য সংগ্রহের জন্য খোলা মাঠে চড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতের কারণে অনেকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের হাসপাতালে সেবা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত এবং এ্যাজমা রোগিদেরকে বিশেষ সেবা প্রদানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুনির আলী আকন্দ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

(বিএম/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯)