নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হামিদপুর-জিগাতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ফাটল ধরা জরাজীর্ণ ভবনের ছাদে নতুন পাঠদান কক্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে মারাত্মক ভবন ধস দূর্ঘটনার আশঙ্কায় সংকীত এলাবাসী। উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের এ বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনটি প্রায় ৩০ বছরের পুরনো। 

এ ভবনের ছাদে পাঠদান কক্ষ নির্মাণ কাজ শুরু করায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হয়ে উছেঠে। যে কোন দিন জরাজীর্ণ বিদ্যালয়টির ভবন ধসে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীসহ জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বীগ্ন তারা।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা সমূহ প্রকল্পের অধীনে ১ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দোতলায় পাঠদান কক্ষ নির্মণে নওগাঁর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সোহাগ এন্টার প্রাইজকে দেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক নিকুঞ্জ বিহারী জানান।

জরাজীর্ণ এ বিদ্যালয় ভবনের অধিকাংশ বিম, পিলার ও ওয়াল ফেটে যাওয়ার ফলে ওই ভবনের দোতলায় নতুন পাঠদান কক্ষ নির্মাণ করা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর কোন কথায় তোয়াক্কা না করে পাঠদান নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছে। বিম, পিলার ও ওয়ালের ফেটে যাওয়া স্থানগুলোতে সিমেন্ট এবং বালু দিয়ে জোড়াতালি দিচ্ছে ঠিকাদারের লোকজন।

ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাদে জলছাদ না থাকায় ভবনটির ব্রিক ও বিম ড্যাম হয়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ফজলুল হক বাবু গণমাধ্যমকে জানান, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের প্রকৌশলী অনেক আগেই ওই ভবনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করলেও টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে তিনি দাবী করেন।

এদিকে নওগাঁর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী তামিম আহমেদ জানান, তিনি নতুন যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে তার কোন কিছু জানা নেই। তবে তিনি বলেছেন, পূর্বের প্রকৌশলী ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। তবে এ বিদ্যালয়টি কোন ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে তিনি জানান।

ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ইউনুছ আলী, হুমায়ন আহমেদ, হারুনুর রশিদ ও তাপস মন্ডল অভিযোগ করেন তারাসহ এলাকাবাসী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জরাজীর্ণ ভবনের দোতলায় নতুন পাঠদান কক্ষ নির্মাণ শুরু থেকে এর প্রতিবাদ করে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের কথায় কোন কর্ণপাত না করে কাজ করে যাচ্ছেন।

(বিএম/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯)