মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণের তিনদিন পর অপহৃত ঐ ব্যক্তিকে উদ্ধার ও তিন অপহরকারীকে আটক করেছে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কবিরাজ পরিমল মিত্র (৬৫) নামের ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। 

এ সময় অপহরণকারী তিন সদস্য সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামের হাফেজ ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫), চান মিয়া মোল্লার ছেলে সোবাহান মোল্লা (২২) এবং মস্তফাপুর গ্রামের রফিক ভূইয়ার ছেলে মনির ভূইয়াকে (৩৭) আটক করে। অপহৃত পরিমল মিত্র পেশায় একজন কবিরাজ।

শুক্রবার রাতে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায়, কবিরাজ পরিমল মিত্র গত ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টার সময় নিজ বাড়ী গৌরনদী হতে তার মেয়ে জামাই বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দাসেরহাট গ্রামের উদ্দেশ্য রওনা হয়।

পথিমধ্যে মোবাইল ফোনে অপহরণকারীরা কবিরাজ পরিমল মিত্রকে জানায় তারা কবিরাজি চিকিৎসা নিবে। তাই মাদারীপুর সদর উপজেলার তাতিবাড়ী বাজারের সোবাহান মোল্লা নামক এক ব্যক্তিকে ওষুধ দিতে হবে বলে অপহরণকারীরা জানায়।

পরবর্তীতে পরিমল মিত্র ঐদিন সকাল ১০টার সময় মাদারীপুর সদর উপজেলার তাতিবাড়ী বাজারে পৌছালে অপহরণ চক্রের সদস্য রোগী দেখানোর কথা বলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় অপহরণ চক্রের অপর সদস্য সোবাহান মোল্লার বসত ঘরে নিয়ে আটকিয়ে রাখে। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপহৃতের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।

এ বিষয়ে অপহৃতের পরিবার বরিশাল জেলার গৌরনদী থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন এবং উক্ত অপহৃতকে উদ্ধারের জন্য র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের কাছে সহায়তা কামনা করেন।

পরিবারে আবেদনের পর গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। অপহৃত পরিমল মিত্রকে অপহরণ চক্রের সদস্য সোবাহান মোল্লার বসত বাড়ী হতে উদ্ধার করেন। এ সময় মূল অপহরণকারীরা কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরও হাতে নাতে আটক করা হয়।

আটকদের মাদারীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন বলে র‌্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান।

(এএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯)