রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়ায় সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ২৩ দিন বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে এক বখাটে যুবক। 

এ ঘটনায় গত রবিবার রাতে ধর্ষিতার পিতা বাদী লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই ধর্ষককে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন। পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে সোমবার তার ডাক্তারী পরীক্ষা নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে ধর্ষিতা নড়াইলের বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।

পুলিশ ও দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার লোহাগড়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর শিক্ষর্থী ও। লোহাগড়া ইউপির কালনা গ্রামের সাহানুর মোল্যার মেয়ে (১৬) স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই উপজেলার ইতনা গ্রামের ছত্তার মোল্যার ছেলে আলামিন মোল্যা (২২) তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত করে আসছিল। উত্ত্যক্তের বিষয়টি সে তার মা-বাবাকে জানায়। এরপর ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বখাটে আলমিনকে নিষেধ করে। এতে আলামিন ক্ষিপ্ত হয়।

সাহানুর মোল্যা জানান, গত ৩ ডিসেম্বর আমার মেয়ে সন্ধ্যায় চাচাত ভাই প্রতিবেশী সোহাগের বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ওৎ পেতে থাকা বখাটে যুবক আলামিনসহ তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা আমার মেয়েকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে ইতনায় তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। খোঁজ পেয়ে ২৭ ডিসেম্বর আলামিনে বাড়িতে গিয়ে আমার মেয়েকে দেখতে পাই এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। পরে লোহাগড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের মাধ্যমে মেয়ে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।

ধর্ষণের ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পিতা সাহানুর মোল্যা বাদী হয়ে রবিবার রাতে লোহাগড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২১, তাং-২৯/১২/২০১৯ইং।

লোহাগড়া থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক জানান, পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ধর্ষক আলামিনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। সোমবার তার ডাক্তারী পরীক্ষা নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে ধর্ষিতা নড়াইলের বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

(আরএম/এসপি/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯)