বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : সংখ্যালঘু নির্যাতনে প্রতিবাদ সভা ও পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশে পটুয়াখালীর বাউফলে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সার্বজনিন কালীবাড়ি মন্দিরের সামনে প্রতিবাদ সভা ও এর আগে সকাল ১০ টায় পৌর সদরের একটি আবাসিক হোটেল কক্ষে ওই সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়

পৌর সদরের সার্বজনিন কালীবাড়ি মন্দিরের সামনে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, জমিদখল ও দেশ ত্যাগের হুমকীর প্রতিবাদে সভা করেছেন উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ। সভায় ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধির রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে শংকর ধুপি, বিভারাণী, মিলন চন্দ্র কীর্তনীয়া, নিতাই দেবনাথ, সঞ্জিত কুমার সুনু শাহ, সত্য রঞ্জন সরকার, শান্তি রঞ্জন দেবনাথ, উত্তম গাঙ্গুলী, অতুল চন্দ পাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

এসময় ‘পুলিশ সাপেরও বাপ, ব্যাঙের ও বাপ’ উল্লেখ করে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন বাউফল প্রেসক্লাব একাংশের সভাপতি অতুল চন্দ্র পাল। অপরদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে ৩ আগষ্ট রবিবার ও ৫ আগষ্ট মঙ্গলবার দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় ‘বাউফলে আরও এক সংখ্যালঘু পরিবারকে দেশ ত্যাগের হুমকী’ ও ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা বাউফলে বেড়েই চলেছে’ শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশকে মিথ্যা ও অসত্য দাবি করে এক লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন উপজেলার কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন মোল্লা। রিপোর্টে উল্লেখিত খতিয়ান ও দাগ নম্বরের সম্পত্তি নিয়ে সংখ্যালঘু শংকর চন্দ্র ধুপির সঙ্গে তাদের কোন বিরোধ নেই।

উপরন্ত শংকর ধুপি দীর্ঘদিন থেকে মুর্তি ভাঙা, ডাকাতি, লুট, ছিনতাই, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রনি করছেন উল্লেখ করে পত্রিকায় মুল ঘটনা না লিখে সামাজিকভাবে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। গত ২০ জুলাই, রোববার একই পত্রিকায় ‘২০টি সংখ্যালঘু পরিবারের পাঁচ কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল’ শিরোনামে সংখ্যালঘুর নাম ভাঙিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর সদরের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যাবসায়ী।
(এমএবি/এএস/আগস্ট ০৬, ২০১৪)