নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলে ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে দলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।

তিনি বলেন, জামায়াত আমাদের ওয়ার্কার্স পার্টি, যুবমৈত্রী ও ছাত্রমৈত্রীর নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। জামায়াতে ইসলামের মূল টার্গেটের শিকার হচ্ছে ওয়ার্কার্স পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাবক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফজলে হোসেন বাদশা যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষদূত স্টিফেন জে র‌্যাপের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, বাংলাদেশের চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এ দেশের আইন ও জনগণের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করেই চলবে। যুদ্ধাপরাধের দায় প্রমাণিত হওয়া সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্রশিবিরের বিচারও হতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথায় বাংলাদেশ চলে না, চলবেও না। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এই মার্কিনীরা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল, এবার যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে ও জামায়াতকে এদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে তাদের দালালি করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এই সা¤্রাজ্যবাদী অপশক্তিই বাংলাদেশের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করে গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়া রুদ্ধ করার জামায়াত-বিএনপি’র চক্রান্তকে সমর্থন করেছিল। মার্কিনীদের বুঝতে হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের রূপ বাংলাদেশের মানুষই নির্ধারণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও তাদের দোসরদের নিয়ে জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ১৪ দলীয় জোট প্রসঙ্গে বলেন, আমরা ১৪ দলে আছি। কিন্তু দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণের পক্ষে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমরা গত সংসদে ‘খনিজ সম্পদ রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ বিল’ উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সরকার সে বিল গ্রহণ করেনি। আমরা এই সংসদে সেই বিল আবারো উত্থাপন করব। একই সাথে কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় ‘কৃষি আদালত বিল’ এবং সকল জনগণের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে ‘খাদ্য নিরাপত্তা বিল’সহ জনস্বার্থ রক্ষায় সংসদে ও সংসদের বাইরে সকল সংগ্রামেই আমরা আত্মনিয়োগ করব। তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলির একতরফা হামলা ও গণহত্যারও তীব্র নিন্দা জানান। এদিকে, পলিটব্যুরো সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস প্রস্তাবিত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা সংশোধনের দাবি করে বলেন, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে এ সরকার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তা বাংলাদেশের সাংবাদিকমহলসহ জনগণ মেনে নেবেন না। তিনি এই সর্বনাশা পথ থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু প্রমুখ।
(টিএআর/এএস/আগস্ট ০৬, ২০১৪)