আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ জন্য চাকরি প্রার্থীকে একটি সাদা চেক প্রদান করা হলেও তাতেও প্রতারনার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। জেলার গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে এ অভিযোগ করেন পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার রমজানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক বেপারীর পুত্র মানিক বেপারী।

তিনি বলেন, গত এক বছর পূর্বে একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রহমান হাওলাদারের পুত্র আরিফ হাওলাদার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা তার খুবই ঘনিষ্টজন দাবি করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার (মানিক বেপারী) ভাইকে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেয়। একই গ্রামের লোক হওয়ায় আরিফ হাওলাদারের প্রস্তাবে তিনি (মানিক বেপারী) রাজি হন। এরপর ওই কর্মকর্তাকে টাকা দেওয়া কথা বলে আরিফ হাওলাদার চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে চাকরি না হওয়ায় তিনি (মানিক) আরিফের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে নানা তালবাহানা শুরু করে। বিষয়টি আরিফের বাবা ও মায়ের কাছে জানানো সত্বেও তারা কোন কর্ণপাত করেননি। পরবর্তীতে টাকা ফেরত পেতে তিনি (মানিক) রমজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতারক আরিফ নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুস আলী বলেন, চাকরি প্রার্থীকে আরিফ একটি সাদা চেক প্রদান করলেও তাতেও প্রতারনার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। প্রতারক আরিফ হাওলাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি (চেয়ারম্যান) প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান করেছেন।

অভিযুক্ত আরিফ হাওলাদার টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, টাকাটি এক কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে। এখন সে টাকা ফেরত না দেয়ায় তিনি মানিক বেপারীকে টাকা ফেরত দিতে পারছেন না। টাকা উত্তোলনের জন্য তিনি (আরিফ) বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। তবে এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তিনিসহ তার ঘনিষ্ঠজনকে দিয়ে বিভিন্ন তদবির করিয়েছেন।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০২০)