গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একই নামে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে । 

জানা গেছে, উপজেলার ছাপরহাটী ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটী গ্রামের কিছু সংখ্যক শিক্ষানুরাগী ১৯৭৫ সালে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে পশ্চিম ছাপরহাটী (হাউদার ভিটা) নামকরণেন একটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থাপন করেন। সে সময় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি শরিফুল ইসলামকে ২০০০ সালে প্রধান শিক্ষক ও অপর তিনজনকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন। মাদ্রাসাটির কোড নম্বর ৫১১৫৮। তখন থেকে এলাকার ১’শ ২২ জন কোমলমতি শিক্ষাথী নিয়ে মাদ্রাসাটি সুনামের সাথে পরিচালিত হওয়াসহ শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করে আসছে।

সম্প্রতি মাদ্রাসাটি ডিআর ভুক্ত হলে একটি মহল উক্ত মাদ্রাসার ৫’শ গজের মধ্যে ২০১৭ সালে অপর একটি ঘর উত্তোলন করে সেটিকেই পশ্চিম ছাপরহাটী (হাউদার ভিটা) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা বলে দাবি করে ওয়াজেদ আলীকে প্রধান শিক্ষক ও অপর তিনকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন।

এ নিয়ে দুই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির মধ্যে দ্বন্দ¦ চরম আকার ধারণ করাসহ এলাকায় উত্তেজনা বেড়ে গেলে গত শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী সরেজমিনে মাদ্রাসা দুইটি তদন্ত করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দু-পক্ষের মাদ্রাসা স্থাপন সংক্রান্ত কাগজ পত্রাদি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখে সঠিকতা সর্ম্পকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০২০)