স্টাফ রির্পোটার, ঢাকা : হাইকোর্ট আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সংসদ সদস্যপদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। সোমবার হাই কোর্টের নির্ধারিত সংশ্লিষ্ট ‘নির্বাচনী’ বেঞ্চে এক আবেদন শুনানি শেষে বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। অ্যাডভোকেট নওশের আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

এর আগে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে মনোনয়নপত্র বাতিল করায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পেরে জাতীয় পার্টির (জেপি) মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী খন্দকার হেবজুর রহমান গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওই আবেদনটি করেন।

ওই আবেদনে লাভজনক পদে থেকে সংসদ সদস্যপদে প্রার্থীতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। একই সঙ্গে তার নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের নির্বাচনকেও বাতিল ঘোষণা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে খন্দকার হেবজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল্লাহ ভূঁইঞা সাংবাদিকদের জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি করা রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও অ্যাডভোকেট আনিসুল হককে বিবাদী করা হয়েছে।

তিনি জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হলেও অবৈধভাবে (জেপি) প্রার্থী খন্দকার হেবজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ওই প্রার্থী লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করেছেন। সংসদ সদস্য হওয়ার পরে পদত্যাগ করেছেন।যা গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ও সংবিধান পরিপন্থি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

(ওএস/এএস/মার্চ ০৩, ২০১৪)