রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় এক ব্যাবসয়িকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গত সোমবার সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে রোববার রাত ১২টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নাম আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ। সে সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙা গ্রামের নূর মোহাম্মদ গাইনের ছেলে।

ঝাউডাঙা বাজারের রাজ সার্ভিসিং সেন্টারের মালিক সাধন কুমার ঘোষ জানান, তুজুলপুর গ্রামের সাংবাদিক পরিচয়দানকারি ইয়ারব হোসেনের সশস্ত্র বডিগার্ড আরিফ। ২০১২ সালের ৩ আগষ্ট সদর উপজেলার ভাটপাড়া থেকে একটি পিস্তলসহ আরিফ গ্রেপ্তার হয়। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা (জিআর-৫৭১/১২ সদর) করে।

এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সদর থানায় ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর সদর থানায় ৬নং মামলা হয়। এ ছাড়াও কয়েকজনকে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে মালামাল ছিনতাই করার ঘটনায় আরিফের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালী থানায় ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৯২ নং মামলা হয়। এরপরও সে সাংবাদিক পরিচয়দানকারি ইয়ারবের সশস্ত্র বডিগার্ড হওয়ায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার ব্যবহৃত অস্ত্র সে ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ভাড়া দিয়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন. গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর আরিফ, সাদ্দাম হোসেন ও জব্বার তার দোকানে এসে দু’ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে তাকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ৩০ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৮টার দিকে আরিফও তার পাঁচজন সহযোগী তার দোকানে এসে দাবিকৃত চাঁদার টাকা চায়। টাকা না দেওয়ায় তাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঝাউডাঙা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, আরিফকে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছে থাকা বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় সাধানকুমাপর ঘোষ বাদি হয়ে গত ৩ জানুয়ারি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রবিবার রাতে আসামী আরিফকে গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০২০)