স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটির তদন্ত এখন বাংলাদেশ পুলিশের এক নম্বর অগ্রাধিকারের কাজ বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২০’ উপলক্ষে বিগত বছরে প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৫৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘আইজিপি’স এক্সেমপ্লরি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ (আইজিপি’স ব্যাজ) প্রদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে পুলিশের সবগুলো ইউনিট জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, সময় বেঁধে দিয়ে তদন্ত করা যায় না। কোনো ঘটনা এক ঘণ্টার মধ্যেই বের করা সম্ভব হয়, আবার কোনো কোনো ঘটনার তদন্ত শেষ করতে সময় লাগে। দেখতে হবে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি কি-না।

‘ঢাবি ছাত্রীর এই চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত করছে এবং অপরাধীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’- বলেন আইজিপি।

গত রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্ষণিকা’ নামের দোতলা বাসে (ঢাবি-টঙ্গী রুট) বাড়ি ফিরছিলেন। কুর্মিটোলায় বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এরই মধ্যে কুর্মিটোলা থেকে ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে সড়কের পাশের দুটি সিসিটিভি ফুটেজ। এছাড়া ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পেয়েছে।

অন্যদিকে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ধর্ষকের বিচার দাবিতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সোমবারের পর মঙ্গলবারও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৭, ২০২০)