সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : যুবলীগ নেতা রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের পাথাইরকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফজলুল হকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে উপজেলা যুবলীগের নেতারা আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবীর চৌধুরীর অফিস ভাংচুর করে। দুই ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকেই মামলার আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে। 

কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মুস্তাফিজ উর রহমান বিপুল, যুগ্ম আহবায় জাহাঙ্গীর আলম ভূঞা, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, যুবলীগ নেতা তাপস পোদ্দার, ছাত্রলীগ নেতা ইফতিকার ও আফরিদ জাহান স্বপনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি এই মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের সন্নিকটে তার চেম্বারের পিছনের দরজা ভেঙ্গে ঘরের বিভিন্ন মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

অপর দিকে কাওয়ালীকান্দা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে খোকন মিয়া বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ, সহযোগী জামাল, সাদেক আহমেদ, রাইতন মিয়া, আবুল কাশেম, সেলিম মিয়া, সৈয়ন উদ্দিন, আল-আমিনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানা দ্রুত বিচার আইনে পাল্টা একটি মামলা করেন।

এই মামলা এজাহারে খোকন মিয়া উল্লেখ করেন, ১ জানুয়ারী তার ছোট ভাই পাথাইকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফজলুল হক মোটর সাইকেল যোগে সকালে বই বিতরন উৎসবে রওনা দেন। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাওয়ালীকান্দা বাজারে যাওয়া মাত্রই মামলার এজার নামীয় আসামীরা তার পথরোধ করে মোটর সাইকেল ভাংচুর, মোবাইল সেট ও পকেটের মানিব্যাগে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এছাড়া তারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারপিট করে। কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান জানান দুটি মামলার তদন্ত ও ঙ্গ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(এসবি/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০২০)