নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের হালতিবিলে নিষিদ্ধ বাদাই জাল দিয়ে পোনামাছ মারার অপরাধে ১২ জেলেকে ৩ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার ভোর রাতে হালতিবিলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটকসহ ৩ হাজার বাদাই জাল জব্দ করে তা পড়িয়ে ভষ্মিভুত করা হয়।

পুলিশ জানায়, বুধবার ভোর রাতে ভ্রাম্যমান আদালতে বিচারক নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জাহানের নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল বিশাল হালতিবিলে অভিযান চালায়। এসময় অবৈধ বাদাই জাল দিয়ে পোনা মাছ শিকারের সময় ১২ জেলেকে আটক সহ প্রায় ২ লাখ টাকা মুল্যের ৩ হাজার মিটার দৈর্ঘের নিষিদ্ধ বাদাই জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জাহান আটকৃতদের প্রত্যেককে ৩ মাস করে কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বাঁশিলা গ্রামের দেলবরের ছেলে আজিজুল ইসলাম(৩০), ফাজেল প্রামানিকের ছেলে সিরাজ প্রামানিক(৪০), নাছের বাগের ছেলে সাহেব আলী(৪০), মজিবর রহমানের ছেলে আলফাজ (৩০), মকবুল হোসেনের ছেলে কামাল হোসেন(২৫), তমিজ উদ্দিন শেখের ছেলে খাজা (৩০), মৃত হারু প্রামানিকের ছেলে কায়েম আলী(৫০), খেরু প্রামানিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম(৩২), মৃত নাছির বাগের ছেলে ফাহিন হোসেন(২৭), বাহার উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ হোসেন(৩০), আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে ভুট্র শেখ(৩০) ও জলিলের ছেলে মাহবুর রহমান(২৫)। পরে জব্দকৃত বাদাই জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুদ দাইয়ান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন, নলডাঙ্গা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জাহান জানান, হালতিবিল সংলগ্ন এলাকায় মৎস্য জীবীসহ জনসাধারনকে নিষিদ্ধ বাদাই ও কারেন্ট জাল দিয়ে পোনামাছ মারতে একাধিকবার বৈঠক করে নিষেধ করা হয়। কিন্তু তারপরও পোনা মাছ মারা অব্যাহত রেখেছে। এজন্য অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মৎস্য রক্ষন ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৫(২) খ ধারায় দন্ড দেওয়া হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

(এমআর/অ/আগস্ট ০৬, ২০১৪)